বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) দুপুর আড়াইটা থেকে বাগেরহাট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ওইসব পরিবারের সদস্যরা অনশন কর্মসূচি শুরু করেন।
এরআগে রোববার (১০ জুন) বাগেরহাটে পছন্দের শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে সদর উপজেলার সুন্দরঘোনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকসহ তিন শিক্ষককে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বরখাস্ত করেন ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি কাজী মতিনুর রহমান।
বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকরা হলেন- ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শেখ শামীম হাসান, সহকারী শিক্ষক (শরীর চর্চা) শেখ মো. আবদুল ওয়াহাব ও সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) মোসা. কামরুন্নাহার।
২৪ ঘণ্টার নোটিশে বরখাস্ত করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে ব্যাংক থেকে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষকরা।
এদিকে কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন- বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ ও সদর উপজেলা শিক্ষক সমিতি সংগঠনের নেতারা।
অনশন কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য রাখেন- বাগেরহাট জেলা স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অজয় কুমার চক্রবর্তী, বাগেরহাট সদর উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. হুময়ূন কবির, শিক্ষক ঝিমি মন্ডল, ফকির মাসুদআলী, ফারহানা আক্তার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ২৪ ঘণ্টার নোটিশে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকসহ তিন শিক্ষককে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে যা অমানবিক। বরখাস্তা হওয়া শিক্ষকদের অবিলম্বে স্ব-পদে বহাল ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে অপসারণের দাবি জানান তারা।
আর দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে জেলাব্যাপী কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বক্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৮
জিপি