সোমবার (৯ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কড়াকড়ি আরোপ এবং চিঠি দেওয়ার নির্দেশনার কথা জানানো হয়। ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলসমূহে সম্প্রতি কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রেক্ষাপট বিবেচনা ও সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়’ বলে উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
এতে বলা হয়, ‘ছাত্রত্ব নেই এমন অছাত্রকে কর্তৃপক্ষ হলে অবস্থান করতে দেবেন না এবং অনতিবিলম্বে অছাত্রদের (যদি থাকে) হল ছাড়ার নির্দেশ সম্বলিত নোটিস দেবেন। এতদ্বিষয়ে প্রয়োজনে হল কর্তৃপক্ষ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নেবেন। হল প্রশাসনের পূর্বানুমতি ছাড়া কোনো অভিভাবক ও অতিথিও হলে অবস্থান করতে পারবেন না। ’
‘বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, আবাসিক হল ও হোস্টেলসমূহে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন, চরমপন্থি ও উগ্র ভাবাদর্শ প্রচারে ও কর্মকাণ্ডে কেউ সংশ্লিষ্ট আছে কি-না, তদবিষয়ে সতর্ক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও হল প্রশাসনকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হলো। কোনো অবস্থাতেই যেন নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের সদস্য ও চরমপন্থিরা হলে প্রবেশ অথবা অবস্থান করতে না পারে সে ব্যাপারে হল প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সতর্ক ও তৎপর থাকতে হবে। এতদবিষয়ে ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সকল হলে অবস্থানরত ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হল প্রশাসন নিয়মিত মতবিনিময় সভা করবেন। ’
ছাত্রী আন্দোলনকারীদের বিষয়ে বলা হয়েছে, ‘শিক্ষা ও শিক্ষা-সহায়ক কর্মকাণ্ড ব্যতীত আবাসিক হল/হোস্টেলে বসবাসরত শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ও স্বাভাবিক জীবনে বিঘ্ন ঘটায় এমন কর্মসূচি (উস্কানিমূলক বক্তব্য, গুজব ছড়ানো প্রভৃতি) গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকার জন্য শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দেওয়া হবে। সম্প্রতি ছাত্রী হলে যারা গভীর রাতে স্লোগান দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক জীবনযাপনে বিঘ্ন ঘটিয়েছে তাদের আবাসিক জীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে যত্নশীল থাকার জন্য পরামর্শ দিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রাধ্যক্ষগণ চিঠি দেবেন। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০১৮
এসকেবি/এইচএ/
** কোটা আন্দোলন নিয়ে ঢাবিতে ফের তদন্ত কমিটি