সোমবার (৯ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে প্রকৌশল দফতরের চিঠিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শহীদ মুখতার ইলাহীর নামের বানান ভুল থাকার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয় ছাত্রলীগ।
পরে বানান ভুলের ঘটনায় প্রকৌশল দফতরের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফ হোসাইন পাটোয়ারী ও কম্পিউটার অপারেটর রাকিবুল ইসলাম শ্যামলকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (চলতি দায়িত্ব) প্রফেসর ড. ফরিদ উল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, অভিযুক্ত দুইজনকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. আবু কালাম মো. ফরিদ উল ইসলামকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন-সহকারী প্রক্টর মো. আতিউর রহমান ও মো. ছদরুল ইসলাম সরকার।
প্রফেসর ড. ফরিদ উল ইসলাম বলেন, তদন্ত কমিটিকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর জড়িতদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, গত ৪ জুলাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, শহীদ মুখতার ইলাহী হলের সংশ্লিষ্টদের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দফতর থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রকৌশলী শরীফ হোসাইন পাটোয়ারী স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ইস্যু করা হয়।
ওই চিঠিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জায়গায় ‘বঙ্গবন্দু শেখে’ এবং শহীদ মুখতার ইলাহীর জায়গায় ‘মোখতার, মূখতার’ ইলাহী লেখা হয়। প্রাথমিকভাবে বানান ভুলের প্রতিবাদ জানায় মুখতার এলাহী হল শাখার ছাত্রলীগ।
পরে সেই চিঠি ফেরত নিয়ে আবারও একই ভুল করে চিঠি পাঠানো হয়। এ ভুলের বিষয়ে কথা বলতে রোববার (৮ জুলাই) ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী ওই দফতরে গেলে তাদের ‘চাঁদাবাজ’ অভিহিত করে মামলার হুমকি দেওয়া হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে সকালে বঙ্গবন্ধুর নামের বানান বিকৃতকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীর অব্যাহতি ও শাস্তির দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগ। এ সময় প্রশাসন ভবনের সব কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এতে ভোগান্তিতে পড়েন ভর্তি ও ফরম পূরণ করতে আসা বিভিন্ন বিভাগের প্রায় চার শতাধিক শিক্ষার্থী।
পরে অভিযুক্ত দুইজনকে সাময়িক অব্যাহতি দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
অভিযুক্ত শরীফ হোসাইন পাটোয়ারী বলেন, ‘কম্পিউটার অপারেটর চিঠি নিয়ে এসে আমার কাছে স্বাক্ষর চায়। আমি ব্যস্ত থাকায় না দেখে সরল মনে স্বাক্ষর করেছিলাম। ’
তবে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০১৮
আরআইএস/