বুধবার (১১ জুলাই) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মোকাররম ভবন এলাকায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে হামলায় গুরুতর আহত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম তারিক।
মনববন্ধনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন, অধ্যাপক ফাহমিদুল হক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খানসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
অধ্যাপক ফাহমিদুল হক বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন অনেক দিন হলো চলছিল। এটা ছিলো ছাত্রদের আন্দোলন। আমরা এ আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে তখনি পাশে দাঁড়িয়েছি, যখন ছাত্রদের ওপর হামলা হয়েছে। আমরা সচেতনভাবে তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। আমরা দেখছি, যাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তাদের রিমান্ডে নিয়ে অত্যাচার করা হচ্ছে। যারা নিপীড়ক, তারা সবাই চিহ্নিত কিন্তু তাদের বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে না। ’
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সামিনা লুৎফা বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অতীত ঐতিহ্য ছাত্রদের আন্দোলন করার জন্য প্রেরণা দিচ্ছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ই আমাদের প্রতিবাদ করতে শিখিয়েছে। বাংলাদেশ রাষ্ট্র ভুল করতে পারে, কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষকরা ভুল করতে পারে না। ’
ছাত্রলীগকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যখন ঘোষণা দিলেন কোটা থাকবে না, তখন আপনারা আনন্দ মিছিল করলেন। বললেন আপনারা আগে ছাত্র পরে লীগ। কিন্তু যখন ছাত্ররা প্রজ্ঞাপনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করতে গেলো তখনি হাতুড়ি দিয়ে হামলা চালালেন। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৮
এসকেবি/জিপি