বুধবার (১১ জুলাই) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিতে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্য দেন ছাত্র ফেডারেশনের ঢাবি শাখার সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজির।
উম্মে হাবিবা বেনজির বলেন, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় হলগুলোতে গণতান্ত্রিক পরিবেশ না থাকায়। বিশ্ববিদ্যালয় হল প্রশাসন সেখানে দখলদার সন্ত্রাসীদের সহযোগীর ভূমিকা পালন করে। অথচ বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উল্টো এর দায়ভার চাপানো হচ্ছে ছাত্রদের উপর। ছাত্রদের যেকোনো অধিকার আদায়ের আন্দোলনে সরকারি প্রশাসন ‘জঙ্গির ছায়া’ বা ‘জামায়াত-শিবির’ এর অস্তিত্ব খুঁজে পায়। আন্দোলন দমনের এ ধরনের মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছাত্র সমাজকে প্রতিরোধ করতে হবে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ‘কিছু জানে না- শোনেনি’ বক্তব্যকে দায়িত্বহীনতার কথা বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ছাত্র তারিকুলকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মারাক্তকভাবে আহত করেছে ছাত্রলীগ। আন্দোলনকারীদের পরিবারের লোকজনকে গ্রেফতার-নিপীড়নের শিকার হতে হচ্ছে। এ পর্যন্ত ঢাবির ১০ জনের মতো শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। নারী শিক্ষার্থীরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনদফা দাবি তুলে ধরেন। এগুলো হলো- নিরাপত্তার অজুহাতে আন্দোলন দমনের জন্য আরোপিত সব অগণতান্ত্রিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা; ঢাবি ক্যাম্পাসে ঐতিহাসিকভাবে ছাত্র-জনতার জন্য উন্মুক্ত করা; হলগুলোতে ছাত্রদের সভা-সমাবেশ করার জন্য প্রভোস্টের অনুমতির সিদ্ধান্ত বতিল করা।
সংবাদ সম্মেলন থেকে শুক্রবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি থেকে মশাল মিছিল বের করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৮
এসকেবি/এএ