এবার বোর্ডের অধীনে ২২৮টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৭১ হাজার ৬৭৫ জন পরীক্ষার্থী ছিলেন। তার মধ্যে ৭১ হাজার ৪২ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেন ৪৪ হাজার ১২৭ জন।
বোর্ড সচিব মোস্তফা কামাল বলেন, বোর্ডের অধীনে শতভাগ পাস প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১০টি এবং পাস করেনি এমন প্রতিষ্ঠান দু’টি। এগুলো হলো ছাতকের উত্তর সুরমা ও কমলগঞ্জের খয়রুননেছা কলেজ। এবার পরীক্ষা চলাকালে বহিষ্কার হন ২৮ জন পরীক্ষার্থী।
এবার ইংরেজি ও আইসিটিতে অকৃতকার্য বেশি। এবার ইংরেজিতে পাসের হার ৭০.৯৬। গতবার ছিলো ৮৩ শতাংশ এবং আইসিটিতে পাসের হার ৮৮ শতাংশ। গতবার ছিলো ৯২ শতাংশ। অবশ্য এবার জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীরা সংখ্যা বেড়েছে। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৭০০ জন। এবার পেয়েছেন ৮৭৩ জন।
ফলাফলে দেখা যায়, পাসের হারের দিক থেকে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে। ছেলেদের মধ্যে ৩২ হাজার ৫৬১ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করে ১৯ হাজার ১৪৬ জন এবং ৩৮ হাজার ৪৮১ জন মেয়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করে ২৪ হাজার ৯৪১ জন। ছেলেদের পাসের হার ৫২.৯২ এবং মেয়েদের পাসের হার ৬৪.৮১ শতাংশ।
তিনটি বিভাগের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগেই পাসের হার বেশি। বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৮৩.১৬ শতাংশ। মানবিকে ৫৫.১৯ ও ব্যবসায় ৬৮.১০ শতাংশ পাসের হার।
বিজ্ঞান বিভাগে ১২ হাজার ২৩৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১২ হাজার ১৪৫ জন অংশ নিয়ে পাস করে ১০ হাজার ১০০ জন।
মানবিক বিভাগে ৪৭ হাজার ৫৩৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪৭ হাজার ১১৪ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করে ২৬ হাজার ৩ জন।
ব্যবসায় ১১ হাজার ৮৯৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১১ হাজার ৭৮৩ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করে ৮ হাজার ২৪ জন।
এবার এইচএসসিতে সিলেট বোর্ডে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে এগিয়ে ছেলেরা। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৮৭৩ জন। এর মধ্যে ছেলে ৫৩৪ এবং মেয়ে ৩৩৯ জন। এক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা। এই বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৭৯২ জন। এর মধ্যে ছেলে ৪৯১ ও মেয়ে ৩০১ জন। মানবিকে ২৬ জন জিপিএ-৫ লাভ করেছেন। এর মধ্যে ছেলে ৬ এবং মেয়ে ২০ জন। এছাড়া ব্যবসা শিক্ষায় ৫৫ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এর মধ্যে ছেলে ৩৭ ও মেয়ে ১৮ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৮
এনইউ/জেডএস