ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে শিক্ষকদের সংহতি সমাবেশ

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৮
হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে শিক্ষকদের সংহতি সমাবেশ ঢাবি অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সংহতি সমাবেশ করছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাবি: কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্র-শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সংহতি সমাবেশ করেছেন ‘নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষকদের ব্যানারে’ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এ সংহতি সমাবেশ হয়। এতে ঢাবি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ (বুয়েট) বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৭০ জন শিক্ষক অংশ নেন।

এতে বক্তব্য রাখেন- তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, ঢাবির অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, ফাহমিদুল হক, সহযোগী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক খান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানজিমউদ্দীন খান, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক তাসনীম সিরাজ মাহবুব, সমাজবিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা প্রমুখ।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ভিসির বাড়িতে যখন হামলা হয়েছে তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ বলছে, এ হামলার সঙ্গে আন্দোলনকারী কেউ জড়িত নয়। তাহলে কেন? আজকে আন্দোলনকারীদের গ্রেফতার করে নিযার্তন করা হচ্ছে। হামলার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন প্রকাশ না করে উল্টো আন্দোলনকারীদের রিমান্ডে নিয়ে নানা রকম নির্যাতন করা হচ্ছে। এতে স্পষ্ট হয় যে, ভিসির বাড়ি আক্রমণ করার উদ্দেশে এ আন্দোলনকে নষ্ট করা এবং এ আক্রমণ ছিল একটি অন্তর্ঘাত।

আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, প্রবল চাপ উপেক্ষা করে তারা আন্দোলনে নেমেছে। হামলার প্রতিবাদ জানাতে তারা আজকে রাস্তায় নেমেছে। তাদের সঙ্গে মেয়ে শিক্ষার্থীরাও নানা বাধা উপেক্ষা করে আন্দোলনে আসছে। এজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। আজকে দেশে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, এটি হল শিক্ষাথীদের দীর্ঘদিনের গভীর ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এ আন্দোলনে শিক্ষকরাও কেন যুক্ত হয়েছেন। আপনাকে বলতে চাই, আপনি যদি এক ঘণ্টার জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতেন তাহলে দেখতে পারতেন আন্দোলনকারীদের ক্ষোভের মাত্রা কতটুকু এবং এ আন্দোলন কিভাবে গভীর ক্ষোভ থেকে তৈরি হয়েছে তা আপনি দেখতেন।
 
ঢাবি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এম আকাশ সংহতি জানিয়ে বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বৈত প্রশাসন দেখতে পাচ্ছি। প্রথমটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং অন্যটি হল হলে যারা আধিপত্য বিস্তার করে গেস্টরুমে শিক্ষার্থীদের নানা রকমের নির্যাতন করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি যদি হলের কর্তৃত্ব হল প্রশাসনকে দিতে ব্যর্থ হয়, তিনি যদি ক্ষমতাসীনদের চাপে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হন, তাহলে আপনাকে বলবো, আপনি নিজ ইচ্ছায় পদত্যাগ করুন।

সংহতি সমাবেশ থেকে সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ছাত্র-শিক্ষকদের ওপর হামলার বিচার, সংসদে কোটা বিষয়ে দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে দেওয়াসহ সাত দফা দাবি জানান গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৮
এসেকেবি/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।