সোমবার (জুলাই) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে তিন কার্যদিবসের সময়সীমা বেধে দিয়ে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের পরিবহনের জন্য ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ১৭টি বাস রয়েছে। যারমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আটটি এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) ভাড়া করা নয়টি বাস। নিজস্ব আটটি বাসের মধ্যে শিক্ষকদের জন্য রয়েছে দু’টি ৩৬ আসনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস। কর্মকর্তাদের জন্য একটি এবং কর্মচারীদের জন্য একটি হিনো বাস। বাকি চারটি বাস বরাদ্দ রয়েছে শিক্ষার্থীদের জন্য। এর মধ্যে চালকের পদ শূণ্য থাকায় একটি বাস অব্যবহৃত রয়েছে। বিআরটিসির একটি বাসে ৫০ জনের ধারণ ক্ষমতার বিপরীতে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী যাতায়াত করেন। এছাড়া বিআরটিসি বাসের সেবা ও মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
ইংরেজী বিভাগের সপ্তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম হানিফের পরিচালানায় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিআরটিসির যেসব বাস হাইওয়েতে চলাচলে অক্ষম, ফিটনেসবিহীন সেসব বাস দিয়ে চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন ব্যবস্থা। প্রায়ই কোনো না কোনো বাস মাঝ পথে নষ্ট হয়ে যায়। বিআরটিসির কতিপয় চালকের বেপরোয়া গাড়ি চালানোয় প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনায় পড়ছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধন থেকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে আলোচনা করে পরিবহন সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৮
এসআরএস