ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

কীর্তিনাশা পদ্মাগর্ভেই বিলীন হলো বিদ্যালয়টি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২২ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৮
কীর্তিনাশা পদ্মাগর্ভেই বিলীন হলো বিদ্যালয়টি পদ্মার গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া চকরাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের একাংশ, (ফাইল ফটো)

রাজশাহী: অবশেষে কীর্তিনাশা পদ্মার গর্ভে বিলীন হলো চকরাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়।

শনিবার (১২ আগস্ট) দিনগত রাত ১টার দিকে বিদ্যালয়ের পাঁকা ভবনের সম্পূর্ণটা পদ্মায় চলে যায়। বিদ্যালয়ের এক পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শহীদ মিনার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এক রাতে গ্রাস করলো পদ্মা।

বাঘা উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, বাঘার পদ্মার চরে ৯টি প্রাথমিক ও দু’টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এরমধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে চৌমাদিয়া, আতারপাড়া, চকরাজাপুর, পলাশি ফতেপুর, ফতেপুর পলাশি, লক্ষ্মীনগর, চকরাজাপুর, পশ্চিম চরকালিদাস খালী, পূর্বচকরাজাপুর এলাকায়। উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে চকরাজাপুর ও পলাশি ফতেপুর এলাকায়। এর মধ্যে চকরাজাপুর উচ্চবিদ্যালয়ে ৬৩৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ভাঙন শুরু হওয়ায় এতদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি হারানোর আতঙ্কে ছিলো বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

২০১২ সালে ভাঙনের কবলে পড়ায় কালিদাশখালী মৌজায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল বিদ্যালয়টি। ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে স্থানীয় প্রকৌশল অধিদফতর ৭৮ লাখ টাকা ব্যয়ে বিদ্যালয়ের পাঁকা ভবন নির্মাণ করে। ১৯৯৮ সালেও একবার ভাঙনের কবলে পড়েছিল বিদ্যালয় ও বাজার। এবারও ভাঙনের কবলে পড়ে পদ্মায় বিলীন হয়ে যায় বিদ্যালয় ও বাজার।

বিদ্যলয়টি ভেঙে পড়ায়, লেখা-পড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বিদ্যালয়ের ৬৩৫ জন শিক্ষার্থী। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি ঘোষণা করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার বাংলানিউজকে জানান, গত ১৪ বছরে দু’বার ভাঙনের কবলে পড়ে চকরাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও চকরাজাপুর বাজার। তবে এবার আর ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেলো না বিদ্যালয়টি। অবশেষে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বিদ্যালয়টি।

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুল আযম জানান, গত তিনদশকে ভাঙনের কবলে পড়ে এটিসহ দু’টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাজার, রাস্তা-ঘাটসহ হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে বসত-ভিটা হারিয়ে সর্বহারা হয়েছে প্রায় সহস্রাধিক পরিবার। তাই ভাঙন ঠেকাতে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলেও দাবি করেন এ জনপ্রতিনিধি।

বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীন রেজা জানান, রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নাসিমা খাতুন সম্প্রতি ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। তারা এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৮
এসএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।