ঢাবির রোকেয়া হল থেকে দোয়েল চত্বর হয়ে সচিয়বালয় পর্যন্ত এ আলপনা আঁকবে শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতি (ডুজা) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঢাবির টিএসসি কেন্দ্রিক সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ছাত্রলীগের সমন্বয়ে কমিটি গঠিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, ঢাবি ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আসাদ, নাট্য সংসদের সভাপতি সানোয়ারুল হক সনি প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি আমাদের সবার জন্য গর্বের, আনন্দের ও আহংকারের। তার এ আগমনকে আমরা তার হৃদয় মন্দিরে একটি চিরস্মরণীয় জায়গায় প্রতিস্থাপিত করে দিতে চাই। আমরা জানি প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের রাস্তা হয়ে রোকেয়া হলে আসবেন ৭ মার্চ ভবন উদ্বোধন করতে। তাই আমরা চাই তার আগমনের এ পুরো পথ আমাদের হৃদ মাঝারে থাকা ভালোবাসার সবটুকু রং মিশিয়ে আলপনা করে তার আগমনের পথকে রঙিন করে তুলতে। সে লক্ষ্যে সংগঠনের সবাই ৩১ আগস্ট সারাদিন প্রধানমন্ত্রীর আগমনী পথকে রঙিন করে তুলতে কাজ করবো। আমরা মনে-প্রাণে লালন করি আমাদের এ আলপনা তার মনে চিরস্থায়ী জায়গা করে নিবে।
সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদে অন্যান্য রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন আসতে চাইলে কি করা হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে বলা হয়, স্বাধীনতাবিরোধী ছাড়া সবাইকে স্বাগত জানানো হবে।
অতীতে ছাত্রলীগ এমন ধরনের সংসদ করে প্রভাব বিস্তার করেছে- এমন প্রশ্নের জবাবে ছাত্রলীগ ঢাবি শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, আমরা কখনও প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করবো না। এ প্লাটফর্মে একেক সময় একেক সংগঠনের নেতারা অনুষ্ঠান পরিচালনা করবে।
সাদ্দাম হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে চারুকলার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিকেল ৫টা থেকে ১৯৭১ ফুট দৈর্ঘ্যের এ আলপনা আঁকা হবে। ভবনের নাম যেহেতু ‘৭ মার্চ’ সেহেতু আলপনার প্রস্থ থাকবে ৭ ফুট।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৮
এসকেবি/এসএইচ