জেলার মান্দা উপজেলার ভাঁড়শো সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ে ক’দিন আগে ক্লাস চলাকালে ছাদের কংক্রিট ধসে কয়েকজন শিক্ষার্থীর হাতের ওপর।
অন্যদিকে, জেলার আত্রাইয় উপজেলার লালপাড়া সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আফিস কক্ষসহ মোট চারটি কক্ষের নাজুক অবস্থা। বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আহম্মদ আলী বাংলানিউজকে বলেন, বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ১৫০। শ্রেণিকক্ষের তুলনায় ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বেশি। এজন্য দুই শিফটে ক্লাস নিতে হয়। এর মধ্যে কক্ষের দেয়াল-মেঝে ফেটে চৌচির, বৃষ্টি নামলেই ছাদ বেয়ে ভেতরে পানি পড়ে। ফলে অধিকাংশ সময়ে বাইরেই ক্লাস করে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন অভিভাবকরা।
ভাঁড়শো সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর বেশ কয়েকজন ছাত্র -ছাত্রী বাংলানিউজকে বলে, ক্লাসের সময় উপর থেকে ছাদের বালু, সিমেন্ট খুলে খুলে আমাদের গায়ের ওপরে পড়ে। এসব কক্ষে ক্লাস করতে আমাদের অনেক ভয় লাগে। এজন্য আমরা বারান্দায় ক্লাস করি। কিন্তু বারান্দায় এভাবে খোলা জায়গায় ক্লাস করতে আমাদের ভালো লাগে না। বারান্দা বা মাঠে ক্লাস করার সময় বাইরের শব্দ শোনা যায় বলে আমাদের লেখাপড়া করতে সমস্যা হয়। আমাদের নতুন শ্রেণিকক্ষ প্রয়োজন। যেখানে আমরা নিরাপদে ক্লাস করতে পারবো।
ভাঁড়শো সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক নিরেনন্দ্রনাথ মণ্ডল বাংলানিউজকে বলেন, ১৯৮৭ সালে বিদ্যালয়ের ভবনটি স্থাপিত হয়। বর্তমানে ভবনের তিনটি কক্ষের প্রতিটিই ক্লাস নেওয়ার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বহুবছরের পুরনো ভবনটি সংস্কারের জন্য প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানিয়েছে বিদ্যালয় কতৃপক্ষ। কিন্তু এখনও কোনো কাজ হয়নি।
নওগাঁর জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক মাহাবুবুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ওই দু’টি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে যেন তারা শিক্ষার্থীদের নিরাপদ জায়গায় ক্লাস নেন। ভবনগুলো দ্রুত সংস্কারের জন্য দুই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানানো হয়েছে। যদি সংস্কার করে সমস্যা সমাধান না হয় তাহলে ভবনগুলো পুনর্নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৮
এসআই