বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সমাবর্তন মাঠের ওই ধ্বংসাবশেষ অপসারণের কাজ শুরু হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব ও নিরাপত্তা শাখার প্রধান মো. মহিউদ্দিন হাওলাদার বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘গত ২১ জুলাই রাত সাড়ে ১১টা দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ষপূর্তির প্যান্ডেলে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিটের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু প্রায় ৩০ লাখ টাকা দামের সাজসজ্জা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়। পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও এতো বড় ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানার জন্য তদন্ত প্রতিবেদন এখনো জমা দিতে পারি নি। আশা করছি আগামী সপ্তাহের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারবো। ’
ধ্বংসাবশেষ অপসারণের বিষয়ে মহিউদ্দিন হাওলাদার বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসনের তদন্ত চলাকালীন সময়ে ধ্বংসাবশেষ থেকে কোনো কিছু অপসারণ করা যাবে না বলে জানানো হয়। ২৮ আগস্ট পুলিশের তদন্ত শেষ হওয়ায় ধ্বংসাবশেষ অপসারণের অনুমতি দেয় পুলিশ প্রশাসন। অগ্নিকাণ্ডে ভালো থাকা সরঞ্জামাদি নিয়ে গেছেন মালিকরা। ’
অর্ধপোড়া বাশ ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি মালিকরা নিতে অস্বীকৃতি জানালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে ধ্বংসাবশেষ অপসারণের কাজ শুরু হয় বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৮
জিপি