রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) ডাকসু নির্বাচন নিয়ে পরিবেশ পরিষদের সভা শেষে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
এর আগে বেলা পৌনে ১২টা থেকে দীর্ঘ চার ঘণ্টা আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
কবে নাগাদ নির্বাচন দেওয়া হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, নির্বাচনের ব্যাপারে একটা নির্দেশনা আমাদের আগেই দেওয়া আছে। নির্বাচনী কাজের পরিধি নিয়ে আমাদের প্রভোস্ট কমিটি ও শৃঙ্খলা কমিটি ইতোমধ্যে একটা নির্দেশনা দিয়েছে। আমাদের টার্গেট ২০১৯ সালের মার্চ মাস। শৃঙ্খলা ও প্রভোস্ট কমিটি তো আমারদের ওই অবস্থান থেকে সরে যেতে বলেনি।
‘আমাদের প্রাধ্যক্ষরা ভোটার তালিকা প্রণয়ণে কাজ করছেন। অক্টোবরের মধ্যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রণয়ন করবো। কঠিন কাজ। এটি করতে পারলে আমরা অনেক এগিয়ে যাবো। ’
তিনি বলেন, সামনে আমাদের অনেক বড় একটি বিষয় রয়েছে। সেটি নিয়ে আলোচনা করার জন্য আমাদের আজকের সভা ডাকা হয়। গণতান্ত্রিক ও সংসদীয় রীতি-নীতি এবং মূল্যবোধ নিয়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা আলোচনা করেছে। তারা যে বিষয়গুলো উপস্থাপন করেছে সেগুলো আমাদের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা নোট করেছেন। সেগুলো আলোচনা-পর্যালোচনা করে প্রতিটি বিষয় কীভাবে সমাধান করা যায় সেগুলোর দিকে আমরা এগোবো।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, ডাকসু নির্বাচন কবে নাগাদ হতে পারে, সম্ভাব্য তারিখ, শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক সহবস্থানসহ নানাবিধ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা যে বক্তব্যগুলো দিয়েছে সেগুলো আমরা পর্যালোচনা করবো কোনটা কীভাবে আলোচনা করা যায় সেগুলো আমরা দেখবো। এ ধরনের বৈঠক হয়তো আরো লাগবে। এটা প্রথম সভা।
সহবাস্থানের বিষয়ে তিনি বলেন, সহবাস্থানের জন্য যা যা করা দরকার প্রাধ্যক্ষরা তা করবেন। এগুলো নতুন কিছু নয়। সবাই অভিজ্ঞ, সবাই যা করা দরকার তা করবেন। হলে সহাবস্থান ও মধুর ক্যান্টিনে রাজনৈতিক চর্চা সবার জন্য উন্মুক্ত। আমাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা নেই। ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলো তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালনার জন্য উন্মুক্ত সেগুলো কারো জন্য বাধা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৮
এসকেবি/এএ