মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
দুই দিনব্যাপী অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ রূপরেখা নির্ধারণ’ শীর্ষক এ তৃতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের টাফ্টস ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক পার্থ এস ঘোষ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সম্মেলনের কো-চেয়ার অধ্যাপক ড. এম সাদিকুল ইসলাম।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, অক্সফামের একটি সাম্প্রতিক কালের গবেষণায় দেখা গেছে গত বছরের ৮২ শতাংশ সম্পদ ১ শতাংশ মানুষের কাছে চলে গেছে। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের মাধ্যমে সমন্বিত সমাজ গড়তে কার্যকর ভূমিকা রাখার জন্য পেশাজীবী, শিক্ষাবিদ ও গবেষকদের এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন, দারিদ্র বিমোচন, মানসম্মত শিক্ষা ও টেকসই শিল্পায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমাদের দক্ষ মানব সম্পদ সৃষ্টি করতে হবে। বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্বের বিভিন্ন খ্যাতিমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে যৌথ সহযোগিতামূলক শিক্ষা ও গবেষণা প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।
উদ্বোধনী পর্বে পার্থ এস ঘোষ তার প্রবন্ধ ‘নার্চারিং দ্য ইনোভেটিভ সোসাইটি ফর অল-রাউন্ড ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট: টুর্য়াডস ক্যাপিটালিজম ২.০’ তে ভবিষ্যতে ব্যষ্টিক ও সামষ্টিক অর্থনীতির মোকাবেলা নিয়ে কথা বলেন। তিনি একটি ‘ইনোভেটিভ এবং এন্টারপ্রাইজিং সোসাইটির মডেল উপস্থাপন করেন।
ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে দেশের ব্যবসা ও অর্থনীতিতে নিজস্ব দিক নির্দেশনা প্রয়োজন। বাইরের দিক নির্দেশনা দিয়ে আমাদের দেশ এখন সামনের দিকে এগোতে পারবে না। এখন আমাদেরকে নিজস্ব গবেষণা, নিজস্ব দিক নির্দেশনার মাধ্যমে এবং বহির্বিশ্বের সঙ্গে যৌথ গবেষণার মাধ্যমে আমাদের অর্থনীতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
সম্মেলনে বাংলাদেশ, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, মালয়েশিয়া, জাপান, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ার শিক্ষক ও গবেষকগণ অংশগ্রহণ করছেন। এতে ১৬টি প্যারালাল সেশনে ৬০টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৮
এসকেবি/এএইচ