সোমবার (২২ অক্টোবর) মাগুরা মেডিকেল কলেজ অফিস সূত্র বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে।
সূত্র জানায়, মাগুরা মেডিকেল কলেজ মাত্র দুইমাস আগে ঘোষিত হলেও এবছর থেকেই ভর্তির আদেশ আসে।
মাগুরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অলোক কুমার সাহা বাংলানিউজকে জানান, ‘এখন পর্যন্ত শিক্ষক হিসেবে শুধু আমাকেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসকেরাই আপাতত ক্লাস নেবেন। আশেপাশের জেলায় যে মেডিকেল কলেজ আছে সেখান থেকে শিক্ষকরা এসে সহযোগিতা করবেন। তবে খুব শিগগিরই স্থায়ী ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। ’
নোয়াখালী থেকে ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থী অনিক কমার কুরি বাংলানিউজকে বলেন, অনেক দূর থেকে এসেছি। মাগুরা মেডিকেল কলেজের প্রথম ব্যাচের ছাত্র হিসেবে ভর্তি হতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।
সাতক্ষীরা থেকে আসা আরে শিক্ষার্থী রমা রাণী পাল বাংলানিউজকে বলেন, মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার অনুভূতি সত্যিই আলাদা। তবে এ মেডিকেল কলেজের নিজস্ব কোনো অবকাঠামো নেই, তাই আবাসন নিয়ে একটু ভাবতে হচ্ছে।
মাগুরার প্রবীণ চিকিৎসক কাজী তারিফুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, মাগুরায় গর্ব করে বলার মতো কোনো প্রতিষ্ঠান ছিল না। মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা হওয়ায় মাগুরাবাসীর জন্য এক পরম পাওয়া। এর মাধ্যমে মাগুরার সব শ্রেণী-পেশার মানুষ উপকৃত হবে।
আশি বছর বয়সী শহরের ইসলামপুরের বাসিন্দা আবু বক্কার বাংলানিউজকে বলেন, জীবনের শেষ প্রান্তে এসে মাগুরায় মেডিকেল কলেজ দেখে যেতে পেরে খুব ভালো লাগছে। মাগুরাবাসী দীর্ঘদিন একটি মেডিকেল কলেজের অভাব বোধ করছিল।
অবকাঠামো সম্পর্কে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সুশান্ত কুমার বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, ‘মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালিত হয় তার জন্য আমরা সব ব্যবস্থা নিয়েছি। এটি সাময়িক একটি ব্যবস্থা। সরকার মেডিকেল কলেজের জন্য নির্দিষ্ট আবাসন তৈরি করলেই সেখানে এর কার্যক্রম শুরু হবে। ’
আবাসনের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ‘আমরা চেষ্টা করছি হাসপাতালেই ছাত্র-ছাত্রীর আবাসনের ব্যবস্থা করা। তা সম্ভব না হলে ভবন ভাড়া করা হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৮
জিপি