ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

খুবির তৃতীয় সিনেট অধিবেশন অনুষ্ঠিত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৮
খুবির তৃতীয় সিনেট অধিবেশন অনুষ্ঠিত বক্তব্য রাখছেন খুবির উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান। ছবি: বাংলানিউজ

খুলনা: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনে সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে তৃতীয় সিনেট অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান সিনেট সভায় সভাপতিত্ব করেন।

অধিবেশনে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট, প্রকৃত আয়-ব্যয় এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ৯৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকার মূল বাজেট উপস্থাপন করা হয় এবং তা সর্বসম্মতভাবে পাস হয়।

অধিবেশনে সিনেট সভাপতি উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক, প্রশাসনিক, ভৌতঅবকাঠামোগত উন্নয়ন, গবেষণা ও শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপ এবং ভবিষ্যত ভাবনার কথা তুলে ধরে অভিভাষণ দেন। বাজেট উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস।

উপাচার্য তার সিনেট সভাপতির বক্তৃতায় বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে উচ্চশিক্ষা এবং গবেষণার গুণগতমান বৃদ্ধির নিরন্তর চেষ্টা করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে ২৯টি ডিসিপ্লিনের মধ্যে ইতোমধ্যে ২১টি ডিসিপ্লিনের জন্য চার বছর মেয়াদী উন্নয়ন কৌশল তৈরি সম্পন্ন হয়েছে এবং এই উন্নয়ন বাস্তবায়নে ইউজিসিতে ১৩৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকারও বেশি চাহিদা পেশ করা হয়েছে। এছাড়া ১৮৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকার চলতি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শেষ হলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রত্যাশিত পর্যায়ে পৌঁছাবে।

উপাচার্য আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নতুন নতুন উদ্ভাবনায় আগ্রহ ও সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে অচিরেই একটি ইনোভেশন সেন্টার চালু করা হবে। একাডেমিক সম্প্রসারণে জয়বাংলা ভবন নামে নতুন একটি দশতলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ এবারই শুরু হবে এবং এটার নির্মাণ কাজ শেষ হলেই আরও নতুন নতুন বিষয় চালু করা হবে।

তবে ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় সম্প্রসারণের জন্য জমি অধিগ্রহণ প্রয়োজন বলে উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, আইসিটি সেলের মাধ্যমে আগামী বছরের শুরুতে সব শিক্ষার্থীর ডাটাবেজ তৈরি ও তাদের অনলাইন রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি চালু হবে।

তিনি আরো বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীদের অধ্যয়নের সুযোগ করে দিতে বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে পত্র দিয়েছি। বিদেশি ছাত্রদের জন্য আলাদা আবাসনের ব্যবস্থা রাখার চিন্তা-ভাবনা করছি। বিদেশের বিভিন্ন উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ শিক্ষা-গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভারতের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়েছে এবং আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এমওইউ স্বাক্ষরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আগামী বছরের শেষ দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ সমাবর্তন অনুষ্ঠানের জন্য চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।

উদ্বোধনী পর্বের পর উত্থাপিত বাজেট ও সভাপতির ভাষণের উপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এ সিনেট অধিবেশনে যোগদানকারী সদস্যরা বাজেট ও সভাপতির আলোচনায় অংশ নেন।

এর আগে সিনেট অধিবেশনের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয় এবং পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পাঠের পর শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।   ২০০৩ সালের ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সিনেট অধিবেশন এবং দ্বিতীয় সিনেট অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় ২০০৭ সালের ৯ আগস্ট।

দীর্ঘ ১১বছর পর সিনেটের এ তৃতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হলো।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৮
এমআরএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।