ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

নিজ অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার আহ্বান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৮
নিজ অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার আহ্বান সেমিনারে বক্তব্য রাখছেন প্রফেসর ড. সাইফুদ্দিন শাহ। ছবি: বাংলানিউজ

ফেনী: নিজ অঞ্চলে উচ্চশিক্ষার পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা থাকলে তা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ফেনী ইউনিভার্সিটির উপাচার্য বিশিষ্ট মৎস্য বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. সাইফুদ্দিন শাহ।

তিনি বলেছেন, এতে অর্থের অপচয় কম হবে। পাশাপাশি শহর-গ্রামের বৈষম্য দূর হয়ে, তরান্বিত হবে দেশের সার্বিক উন্নয়ন।

শনিবার (২৭ অক্টোবর) ফেনীর আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম কলেজের হল রুমে আয়োজিত ‘হায়ার এডুকেশন’ সম্পর্কিত একটি সেমিনারে তিনি এ আহ্বান জানান। ফেনী ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।  

সেমিনারে জেলার পরশুরাম উপজেলায় মনোরম সুন্দর পরিবেশে এমন একটি সুন্দর কলেজ প্রতিষ্ঠা করায় ফেনী ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিমকে ধন্যবাদ জানান উপাচার্য।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের এমন অনেক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আছে যেখানে ঠিক মতো পড়ালেখা হয় না। এছাড়া প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে ক্লাস ও পরীক্ষা ছাড়া সার্টিফিকেট বিক্রি অভিযোগও আছে। রাজধানী ঢাকার অলি-গলিতে অসংখ্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় শোভা পাচ্ছে, যার নিচে হোটেল রেস্তোঁরা পাশে নালা নর্দমা।

কিন্তু ফেনী ইউনিভার্সিটিতে সাত তলা বিশিষ্ট তিনটি বিল্ডিং রয়েছে। যার আয়তন ৫০ হাজার বর্গফুটের বেশি। এছাড়া সাড়ে ১০ একর জায়গায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসের কাজও এগিয়ে চলছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের নিয়োগ করা ভাইস চ্যান্সেলর ও ট্রেজারার দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে এ ইউনিভার্সিটির কার‌্যক্রম।  

এখানে রয়েছে অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী। দেশের সেরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধা তালিকায় থাকা এসব শিক্ষকের আছে বিদেশি উচ্চতর ডিগ্রিও। তাই আমাদের এখানে শিক্ষার মান ঢাকা-চট্টগ্রামের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকেও ভালো। তাই উচ্চশিক্ষার জন্য কেন ফেনী ইউনিভাসিটি নয়? শিক্ষার্থীদের কাছে এমন প্রশ্নও রাখেন তিনি।

সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করতে গিয়ে প্রফেসর ড. সাইফুদ্দিন শাহ বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আমাদের কিছু সামাজিক দায়বদ্ধতা আছে। দরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত অথচ মেধাবী, এমন শিক্ষার্থীরা যেন ঝরে না পড়ে, সেদিকে আমরা লক্ষ্য রাখি। আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন ভবিষ্যতের কর্মক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে পারে, সেভাবেই আমরা তাদের গড়ে তুলতে চাই। দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি করাই ফেনী ইউনিভার্সিটির মূল লক্ষ্য।

উচ্চশিক্ষায় আঞ্চলিকতা প্রেক্ষিত নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে প্রফেসর শাহ বলেন, ‘দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল যেমন; সীমান্ত, পাহাড়ি, উপকূলীয় দ্বীপ ও চরাঞ্চলে সহজে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগানো এবং তা বজায় রাখা কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। ফলে সে রকম এলাকাগুলোতে আবশ্যিকভাবে উন্নয়নের দিক থেকে পিছিয়ে পড়ে। ঠিক এরকমই একটি প্রেক্ষাপটে শিক্ষা ও উন্নয়নের কেন্দ্র হিসেবে ফেনীতে একটি ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠা অত্যন্ত যুক্তিগ্রাহ্য হয়েছে। একটি ইউনিভার্সিটি হচ্ছে নতুন জ্ঞানের উৎপত্তি ও বিতরণের জায়গা, সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিস্তারের প্রাণকেন্দ্র। ইউনিভার্সিটি ছাড়া কোনো অঞ্চলের মানুষের উন্নয়ন সাধন দূরহ হয়ে পড়ে। তাই ফেনীতে এ ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠায় যারা এগিয়ে এসেছেন তিনি তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল আলমের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরশুরাম পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী।  

ফেনী ইউনিভার্সিটির মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও ছাত্র উপদেষ্টা মোহাম্মদ আবুল খায়েরের সঞ্চলনায় ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার এ এস এম আবুল খায়ের, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক মো. সাঈদ হোসেন পারভেজ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান আতাউল হাকিম মাহামুদ, আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৮ 
এসএইচডি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।