‘শিক্ষা, আলো, স্বপ্ন মনে; এসো মিলি তরীর টানে’ স্লোগানকে ধারণ করে শুক্রবার (০৯ নভেম্বর) সকাল ১০টায় বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালির মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
এর আগে সকালে দশক পূর্তি ও প্রথম পুনর্মিলনীতে শিশুদের মধ্যে উপহার বিতরণ করে তরী।
র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশের পাদদেশ থেকে শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে গিয়ে বিরতি নেয়। সেখানে কেক কেটে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক বশির আহমেদ।
এসময় তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা ও ব্যক্তিগত নানা ব্যস্ততার মধ্যেও সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের কথা ভুলে যায়নি। বরং সমাজের মানুষের প্রতি মনুষ্যত্বের দায়বদ্ধতা থেকে তারা সমাজসেবামূলক কাজ
করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, তরী আজকে এক দশক পূর্তি উদযাপন করছে। তাদের এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। যতোদিন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থাকবে, ততোদিন তরী থাকবে। শুধু এই বিশ্ববিদ্যালয়েই নয়, সারাদেশে তরীর এ অগ্রযাত্রা বিকশিত হবে।
এসময় তিনি তরীর সমাজসেবামূলক কার্যক্রমে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবেন বলে ঘোষণা দেন।
পরে বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদের সামনে গাছের চারা রোপণ করেন তারা। এরপর সাড়ে ১১টা থেকে কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া চত্বরে শিশুদের খেলাধুলা, সাবেক ও বর্তমান স্বেচ্ছাসেবকদের মোরগ লড়াই এবং বালিশ বদল খেলার আয়োজন করা হয়।
বেলা ২টায় জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে আলোচনা সভার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়। আলোচনা সভায় তরীর প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরাসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা বক্তব্য রাখেন।
সভাপতিত্ব করেন তরীর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শরফুদ্দিন মোহাম্মদ শান্ত। আলোচনা সভা শেষে শিশুদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রয়েছে।
এ আয়োজনে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম।
‘আলোর পথে আমরা’ স্লোগানে ২০০৮ সালের ২৯ এপ্রিল থেকে জাবি ক্যাম্পাসে পথচলা শুরু হয় তরীর। ক্যাফেটেরিয়া চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের একঝাঁক স্বেচ্ছাসেবী তরুণ-তরুণীদের হাতে গড়ে ওঠে তরী। সুবিধাবঞ্চিত, দরিদ্র, অসহায়, ছিন্নমূল ও পথশিশুদের পাঠদানের মাধ্যমে শুরু হলেও বর্তমানে তরী শিশুদের খাতা, কলম, ব্যাগ, স্কুলের পোশাক, শীতের পোশাক ও বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৮
টিএ