এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।
চিঠিতে বলা হয়েছে, অর্থ মন্ত্রণালয় জারি করা জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ এর অনুচ্ছেদ ১১ অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীদের মতো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) এর যে সব এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরির মেয়াদ ৩০ জুন ন্যূনতম ছয় মাস পূর্ণ হয়েছে, তারা অন্য শর্ত পূরণ সাপেক্ষে ১ জুলাই থেকে মূল বেতনের পাঁচ শতাংশ হারে বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন।
গত ২৭ নভম্বর মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বেসরকারি মাধ্যমিক-৩ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের পাঁচ শতাংশ বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি বা বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ও ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতা কার্যকর করার বিষয়ে গত ১৫ নভেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত ১ জুলাই হতে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা এ সুবিধা প্রাপ্য হবেন।
এরআগে গত ৮ নভেম্বর এমপিভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের দাবি শতকরা পাঁচ শতাংশ বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট এবং ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এমপিওভুক্ত প্রায় ২৮ হাজার স্কুল-কলেজ-মাদরাসায় বর্তমানে প্রায় পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন। ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্টের জন্য ৫৩১ কোটি ৮২ লাখ ৩৯ হাজার টাকা এবং বৈশাখী ভাতার জন্য ১৭৭ কোটি ২৭ লাখ ৪৯ হাজার টাকা প্রয়োজন পড়বে বলে জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
২০১৫ সালে সরকার অষ্টম বেতন কাঠামোর আওতায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বৈশাখী ভাতা চালু করে। সরকারি চাকুরেরা বাংলা নববর্ষে তাদের মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে নববর্ষের ভাতা পান।
আগের সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল বাতিল করে অষ্টম বেতন কাঠামোতে ৫ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্টের নিয়ম চালু করে সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৮
এমআইএইচ/এএ