ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

মাতৃভাষায় বই থাকলেও বঞ্চিত শ্রীমঙ্গলের ত্রিপুরা শিশুরা

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৯
মাতৃভাষায় বই থাকলেও বঞ্চিত শ্রীমঙ্গলের ত্রিপুরা শিশুরা ডলুছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুরা। ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: ত্রিপুরা ভাষার নাম ‘ককবরক’। সরকার নৃ-তাত্ত্বিক এই ভাষাটিকে গুরুত্ব দিয়ে স্কুলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের মাতৃভাষায় শিক্ষা লাভের সুযোগ করে দিয়েছে। তবে তৃণমূল পর্যায়ে এ চিত্র ভিন্ন।

নৃ-ভাষায় বই দেওয়া হয়েছে; অথচ মাতৃভাষায় পড়ালেখা করার সুযোগ পাচ্ছে না নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের শিশুরা। তারা বই পাওয়া সত্ত্বেও শ্রেণিকক্ষে শিখতে পারছে না মায়ের ভাষাটি।

 

শ্রীমঙ্গল শহর থেকে প্রায় দশ কিলোমিটার দূরে ডলুছড়া ত্রিপুরা পাড়া অবস্থিত। এখানে প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষের বসবাস। এখানে রয়েছে ডলুছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে একটি বিদ্যালয়। শিক্ষকের অভাবে শ্রীমঙ্গলের এই বিদ্যালয়টিতে মাতৃভাষায় পাঠদান করানো হয় না।  

ডলুছড়ার বাসিন্দা শ্যামল দেববর্মা বাংলানিউজকে বলেন, মৌলভীবাজার এবং হবিগঞ্জ জেলা  প্রায় সাত হাজার ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের মানুষ তাদের মাতৃভাষায় কথা বলে। আর আমাদের ডলুছড়ায় প্রায় পাঁচ শতাধিক। আমাদের এ এলাকার বিদ্যালয়টিতে একজন ত্রিপুরা শিক্ষকের অভাবে শিশুদের মাতৃভাষায় পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।  

ডলুছড়া সরকারি বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক অরুণ দত্ত বাংলানিউজকে বলেন, গত বছরে প্রথম শ্রেণিতে ত্রিপুরা ভাষায় কিছু বই দেওয়া হয়েছে। এই ত্রিপুরা ভাষার নাম ‘ককবরক’। আমাদের বিদ্যালয়ে ত্রিপুরাভাষার শিক্ষকের অভাবে বই থাকা সত্ত্বেও শিশুদের পাঠদান করানো যাচ্ছে না।  

তিনি আরও বলেন, আমাদের বাঙালি শিশুরা যে বইগুলো পড়ে, ত্রিপুরা শিশুরাও একই বই পড়ে। অর্থাৎ আমাদের বাংলা, ইংলিশ, অংক, সমাজ ও বিজ্ঞান প্রভৃতি বিষয়। ত্রিপুরা ভাষার শিক্ষক নিয়োগ করা হলে ত্রিপুরা শিশুরা তাদের মাতৃভাষায় বই পড়ার সুযোগ পেত।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তাদের নির্দেশনা মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৫৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৯ 
বিবিবি/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।