ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শেকৃবির শেখ হাসিনা হলে ফের আগুন, আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা

শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৯
শেকৃবির শেখ হাসিনা হলে ফের আগুন, আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা আগুনে পুড়ে যায় হলের কমনরুমের কিছু জিনিস

শেকৃবি: শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) কৃষকরত্ন শেখ হাসিনা হলে ফের আগুন লেগেছে। এ নিয়ে তিনদিন গ্যাস লাইন লিক হয়ে ও বৈদ্যুত্যিক র্শটসার্কিট থেকে আগুন লাগলো হলটিতে। 

আগুন না ছড়ানোয় হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও আগুন লাগার খবর শুনে ১০ তলা হলটি থেকে নামতে গিয়ে অনেকেই আহত হয়েছেন বলে জানা যায়। নিরাপত্তার স্বার্থে হলের গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির লাইন বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।


 
শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় হলের ৫ম তালায় বৈদ্যুত্যিক র্শটসার্কিট থেকে আগুন লাগে। এতে কমনরুমের বৈদ্যুত্যিক বোর্ড পুড়ে যায়। আগুন না ছড়ানোর ফলে বড় দুর্ঘটনার কবল থেকে বেঁচে গেছেন হলটির ছাত্রীরা।  

এর আগে গত রবি ও বৃহস্পতিবার (১৭ ও ২১ ফেব্রুয়ারি) গ্যাস লাইন লিক হয়ে আগুন ধরে যায়। এ দু’দিনও আগুন না ছড়ানোয় বড় কোনো ক্ষতি হয়নি।  

নিরাপত্তার স্বার্থে হলের গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির লাইন বন্ধ করে দেওয়ায় ছাত্রীদের হল ছাড়তে দেখা গেছে। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী শেখ হাসিনা হলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে মিটিংয়ে বসেছেন হলটির কর্তৃপক্ষ।  

শেখ হাসিনা হলের ছাত্রীরা বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা থেকেই হালকা হালকা গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল ৭ তলায়। রাত ১২টার পর পুরো হলে তীব্র গ্যাসের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় সবাই হলের নিচে চলে আসি এবং স্যারদের ফোন দিয়ে জানাই। স্যাররা এসে চেক করে দেখেন ৭ তলার রান্নাঘরের পাইপ লিক। অথচ রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) আগুন লাগার ঘটনার পরপরই গ্যাসের মেইন লাইন অফ করে দেওয়া হয়েছিল। কর্তৃপক্ষ বলেছে, কীভাবে নাকি মেইন লাইন অন হয়ে গেছে। ফলে সবাই খুব আতঙ্কিত হয়ে পড়ি।

বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ শেখ হাসিনা হলে যান। হল পরিদর্শন করে উপাচার্য ছাত্রীদের বলেন, কেউ ষড়যন্ত্র করে গ্যাস লাইন লিক করেছে। এসময় ছাত্রীরা হলটিতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা চান। ছাত্রীরা গ্যাস লাইন লিক হওয়া ছাড়াও অন্য সমস্যার কথা বলতে চাওয়ায় উপাচার্য ছাত্রীদের ধমকিয়েছেন। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।   

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, শারমিন আক্তার নামে এক শিক্ষার্থী হলের সমস্যার কথা বলতে গেলে উপাচার্য তাকে বহিষ্কার করার হুমকি দেন।  

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. ফরহাদ হোসেনকেও ধমক দিতে দেখা যায় উপাচার্যকে।
 
শেখ হাসিনা হলের আবাসিক কয়েকজন ছাত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, আগুনের আতঙ্কে আমরা এ নিয়ে তিনবার তাড়াতাড়ি হল থেকে নামলাম। কর্তৃপক্ষ এ দুর্ঘটনাকে ষড়যন্ত্র বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন। এখন আমরা কি করবো? কই যাবো? বারবার এমন হতে থাকলে একদিন তো সত্যি সত্যিই কিছু হয়ে যাবে।

হলের সমস্যা নিয়ে কথা বলতে চাইলে কিছু বলতে রাজি হননি উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৯
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।