ঢাকা, বুধবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ০৩ জুলাই ২০২৪, ২৫ জিলহজ ১৪৪৫

শিক্ষা

ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্যানেলের পরিচিতি সভা

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৪ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০১৯
ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্যানেলের পরিচিতি সভা ছাত্রলীগের পরিচিতি সভা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ছাত্রলীগের প্যানেলের প্রার্থীদের নিয়ে পরিচিতি সভা করেছে সংগঠনটি। 

বুধবার (৬ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদের ব্যানারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।  

ডাকসুর সহ-সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের সঞ্চালনায় এতে ভিপি পদপ্রার্থী ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুলক হক চৌধুরী শোভন তার প্যানেলের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিয়ে ভোট প্রার্থনা করেন।

 

এসময় উপস্থিত ছিলেন ডাকসুর জিএস প্রার্থী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ও ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস।

রেজওয়ানুল হক চৌধুরী বলেন, ডাকসু নির্বাচনে ভোট দেওয়া শিক্ষার্থীদের অধিকার। দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে প্রশাসন এ অধিকার থেকে আমাদের বঞ্চিত রেখেছে। আমরা সৌভাগ্যবান যে, দীর্ঘদিন পর আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি। ছাত্রলীগই পারে শিক্ষার্থীদের সব স্বপ্নপূরণ করতে। এ বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা পূর্ণাঙ্গ আবাসিক হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

জিএস প্রার্থী গোলাম রাব্বানী বলেন, আমাদের স্বপ্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হতে হবে। যেখানে সারাদেশ থেকে আসা শিক্ষার্থীরা নিরাপদ আশ্রয়টুকু পাবে।

সাদ্দাম হোসেন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর প্রথমবর্ষ থেকে সিঙ্গেল সিটের নিশ্চয়তা প্রশাসনকে দিতে হবে। পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলতে চার-পাঁচ বছর সময় লাগতে পারে। আমরা চাই সিনেটে আইনগতভাবে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে অনুমোদন দেওয়া হোক।

ছাত্রলীগের দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রমকে অটোমেশনের আওতায় আনা, সব প্রশাসনিক ও একাডেমিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে শিক্ষার্থীদের জন্য অফিসিয়াল ইমেইল আইডির ব্যবস্থা করা, মানহীন সান্ধ্যকালীন কোর্স বাতিল করা, সাত কলেজের অধিভুক্তি নিয়ে পুনর্বিবেচনা করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালেন্ডারিক ইয়ারে ডাকসু যোগ করা, ডিজিটাল ল্যাব ও আধুনিক লাইব্রেরি কমপ্লেক্স করা, দিনে ২৪ ঘণ্টা এবং সপ্তাহে সাতদিন লাইব্রেরি খোলা রাখা, অযৌক্তিকভাবে বর্ধিত সকল ফি এবং জরিমানার নিয়ম বাতিল করা, ক্যাম্পাসে সব গণপরিবহন বন্ধ ও প্রাইভেট পরিবহন নিয়ন্ত্রণ করা ইত্যাদি।

ছাত্রলীগের প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন- ভিপি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, জিএস- গোলাম রাব্বানী, এজিএস- সাদ্দাম হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক- সাদ বিন কাদের, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক- আরিফ ইবনে আলী, কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক- বিএম লিপি আক্তার, আন্তর্জাতিক সম্পাদক- শাহরিমা তানজিনা অর্নি, সাহিত্য সম্পাদক- মাজহারুল কবির শয়ন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক-আসিফ তালুকদার, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক শামস-ই নোমান, ক্রীড়া সম্পাদক- শাকিল আহমেদ তানভীর ও সমাজসেবা সম্পাদক- আজিজুল হক সরকার।

সদস্য- চিবল সাংমা, ফরিদা পারভীন, নজরুল ইসলাম, রাকিবুল হাসান, রাকিবুল ইসলাম ঐতিহ্য, তানভীর হাসান সৈকত, রাইসা নাসের, সাবরিনা ইতি, নিপু ইসলাম তন্বী, সবুজ তালুকদার, তিলোত্তমা শিকদার, সাইফুল ইসলাম রাসেল ও মাহমুদুল হাসান।

বাংলাদেশ সময়:  ২০০৯ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৯
এসকেবি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।