ঢাকা, শনিবার, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২৮ জিলহজ ১৪৪৫

শিক্ষা

ব্যালটে আগেই সিল মারার অভিযোগ, মৈত্রী হলে বিক্ষোভ

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৯
ব্যালটে আগেই সিল মারার অভিযোগ, মৈত্রী হলে বিক্ষোভ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে আগেই ব্যালটে সিল মারার অভিযোগ তুলে সেখানে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। ফলে ভোটগ্রহণ শুরু হয়নি এই হলে। ভোট বর্জনের পাশাপাশি হল প্রভোস্টসহ প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, প্রায় ১ হাজার সিল মারা ব্যালট পেপার উদ্ধার করেছেন তারা।

সোমবার (১১ মার্চ) সকাল ৯টায় বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের সামনে দেখা যায়, আগে থেকে সিল মারা ব্যালট পেপার নিয়ে শিক্ষার্থীরা হলের গেটের সামনে বিক্ষোভ করছেন। এসব সিল মারা ব্যালট পেপার পৌঁছে গেছে শিক্ষার্থীসহ সাংবাদিকদের কাছেও।

 

ছবি: ডিএইচ বাদলবিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা ‘ভোট চুরির জবাব চাই’সহ বিভিন্ন স্লোগান তুলছেন। হলের গেট দিয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সামাদ গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করলেও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাকে আটকে দেন। ড. সামাদ গাড়ি থেকে নেমে শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু দাবি নিয়েই শক্ত অবস্থানে শিক্ষার্থীরা। সেখানে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানীও।

শিক্ষার্থীরা জানান, সকাল ৮টায় ভোটাররা ভোট দিতে লাইনে দাঁড়ান। প্রক্টর গিয়ে সেখানে কথা বলে সময় কাটানোর চেষ্টা করেন। পরে শিক্ষার্থীরা জোর করে ঢুকলে সিল মারা ব্যালট উদ্ধার করা হয়।  ছবি: ডিএইচ বাদলশিক্ষার্থীরা বলছেন, এসব ব্যালট পেপারে ছাত্রলীগের প্রার্থীদের সিল মারা ছিল। সেজন্য তারা এখন ছাত্রলীগের প্যানেল বাদ দিয়ে নির্বাচনের দাবি করছেন।

শিক্ষার্থীরা আরও বলছেন, আগের রাতেই সিল মারা হয়ে গেছে। এ নির্বাচন আমরা বয়কট করেছি। আমাদের তত্ত্বাবধানে সুষ্ঠু ভোট না হলে এখানে আর ভোট হবে না। আমরা ভোট কারচুপির জবাব চাই। তাছাড়া আমাদের হল প্রভোস্ট, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ফোন দিয়ে সরে যাওয়ার জন্য বলছেন। আমরা তাদেরও পদত্যাগ চাই। আমাদের এসব দাবি মেনে নেওয়া না হলে আমরা অবস্থান ত্যাগ করবো না।  ছবি: ডিএইচ বাদলএরপর শিক্ষার্থীরা হলের সামনের রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বসে পড়েন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী বলেন, অভিযোগ শুনেই আমরা এখানে এসেছি। একটা সমাধান করবো। ড. সামাদ শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন। এখানে উপস্থিত হচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও শিক্ষকরা। ইতোমধ্যে ছাত্রলীগ মনোনীত প্রার্থীদের পোস্টার-ব্যানার হলের সামনে থেকে ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৭ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৯
পিএম/এমএএম/এসকেবি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।