ঢাকা, শনিবার, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২৮ জিলহজ ১৪৪৫

শিক্ষা

পুনর্নির্বাচন নিয়ে স্পষ্ট নন ভিপি নুরসহ অন্যরা

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৯
পুনর্নির্বাচন নিয়ে স্পষ্ট নন ভিপি নুরসহ অন্যরা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন লিটন নন্দী/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে নাটকীয়তা চলছেই। ফল ঘোষণার পর ভিপি পদে পুনর্নির্বাচনের দাবি করে বিক্ষোভ করে ছাত্রলীগ। অপরদিকে সংবাদ সম্মেলন করে ভিপি ও সমাজসেবা সম্পাদক পদ ছাড়া বাকি পদগুলোতে পুনর্নির্বাচন দাবি জানান ডাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নুর।

পরে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন নুরকে মেনে নিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করলে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি থেকে সরে আসেন ভিপি নুরুল হক। কিন্তু ভোট বর্জন করা বাম জোটের প্যানেল পুরো নির্বাচনের কথা বলে।

এ বিষয়ে তাদের মধ্যে কোনো ধরনের সমঝোতা হয়নি।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় টিএসসিতে ভিপি নুরুল হক তার সবশেষ অবস্থান নিয়ে কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। সেখানে তিনি বলেন, আমরা সব সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলাম, থাকবো। রোকেয়া ও কুয়েত মৈত্রী হলে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়। পাশপাশি ছেলেদের হলগুলোতে কৃত্রিম লাইন তৈরি করে ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। যে নির্বাচন প্রশাসন শুরু করেছিল তাতে একটি ত্রুটিপূর্ণ পদ্ধতি ছিল। তার প্রতিফলন এই নির্বাচনে ঘটেছে।

‘সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ছাড়া অন্য সব ছাত্র সংগঠন নির্বাচন বর্জন করেছিল। সে জায়গা থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে আমিও তাদের দাবির সঙ্গে একমত। আমিও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ করবো ২৮ বছর পরে যে নির্বাচনটি হয়েছে সেটি যেন শিক্ষার্থীদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়। সেজন্য এই প্রশ্নবিদ্ধ বা বিতর্কিত নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে দ্রুত নতুন নির্বাচন দিন। ’

নুরুল হক নুর বলেন, আমরা জানি এই নির্বাচনে অন্যদের হারানোর জন্য নানা রকম ইঞ্জিনিয়ারিং বা কারচুপি হয়েছে। এতো কারচুপির পরেও আমি এবং সহযোদ্ধা আখতার হোসেন বেরিয়ে এসেছি। এজন্য আমরা মনে করি এ দুটি পদ ছাড়া অন্য পদগুলোতে বেশি কারচুপি হয়েছে এবং সেজন্য আমাদের দাবি ছিল অন্য পদগুলোতে পুনর্নির্বাচন দরকার। তবে সেক্ষেত্রে যদি পুনর্নির্বাচন হতে হয় তাহলে আংশিক না হয়ে আমরা মনে করি পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়া আবার নতুন করে হতে পারে।

৩১ মার্চের মধ্যে হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী পুনঃতফসিল ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়ে নুর বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া যেহেতু প্রশ্নবিদ্ধ ছিল, সেহেতু নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার পদত্যাগ করে নতুন নিরপেক্ষ শিক্ষকদের নিয়ে কমিটি গঠন করতে হবে।

নূরের সংবাদ সম্মেলনের পরে টিএসসিতে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে প্রশাসনকে তিনদিনের আল্টিমেটাম দেন বাম জোটের প্যানেল থেকে ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা লিটন নন্দী।

বুধবার (১৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল উপাচার্য কার্যালয় অভিমুখে বের করা হবে। সেখান থেকে পুনর্নির্বাচন ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবার পদত্যাগ চেয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৯
এসকেবি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।