ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ছাত্রলীগের সংঘর্ষের পর রাজশাহী আইএইচটি বন্ধ ঘোষণা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৯
ছাত্রলীগের সংঘর্ষের পর রাজশাহী আইএইচটি বন্ধ ঘোষণা হল ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় রাজশাহী ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী, ছাত্ররা মঙ্গলবার (০৯ এপ্রিল) রাত ৮টার মধ্যে ছাত্রাবাস ছেড়েছেন। 

ছাত্রীদের বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল ১০টার মধ্যে ছাত্রাবাস খালি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কঙ্কাল বিক্রির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই  সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পরে একাডেমিক কাউন্সিলের এক জরুরি সভায় ইনস্টিটিউট বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়।

আইএইচটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানে একটি নোটিস ঝুলিয়ে দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘আইএইচটির একাডেমিক কাউন্সিলের এক জরুরি সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে গুরুতর আহত অবস্থায় ১১ জন শিক্ষার্থীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ’

‘পরবর্তী অবস্থা আরও অবনতি এবং রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কায় ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাস বন্ধ ঘোষণা করা হলো। সেই সঙ্গে ডিপ্লোমা কোর্স জানুয়ারি-২০১৯–এর অবশিষ্ট মৌখিক পরীক্ষাসমূহ এবং বিএসসিসহ ডিপ্লোমা কোর্সের সকল বর্ষের ক্লাসসমূহ স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। ’

শিক্ষার্থীরা জানান, মঙ্গলবার (০৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে তৃতীয় বর্ষের তিনজন শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠানের দুই নম্বর গ্যালারিতে কঙ্কাল বিক্রির জন্য প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে যান। এই তিনজন শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের আইএইচটি শাখার সাধারণ সম্পাদক ওহিদুজ্জামানের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।  

সেখানে সভাপতি আসলাম সরকারের অনুসারী প্রথম বর্ষের ছাত্র সাইফুল ইসলামের সঙ্গে ওই তিন শিক্ষার্থীর কথা কাটাকাটি হয়। পরে তিন শিক্ষার্থী বেরিয়ে চলে আসেন। তারা সভাপতির কাছে মীমাংসার জন্য যান। সেখানেই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।  

এতে উভয় পক্ষের ১১ জন নেতাকর্মী আহত হন। পরে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে সাধারণ সম্পাদকের পক্ষের পাঁচজন ও সভাপতির পক্ষের একজন রয়েছেন।

জানতে চাইলে রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, ঘটনার পর পুলিশ গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে লাঠি ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুটি অভিযোগ পাওয়া গেছে।  

তদন্ত করে এই  ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৯
এসএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।