পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, দিল্লি, চেন্নাইসহ বিভিন্ন স্থানের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এসেছে তাদের বিভিন্ন কারিকুলাম ও অফার নিয়ে। নেওয়া হচ্ছে স্পট অ্যাডমিশনও।
১৯ ও ২০ জুলাই, দু'দিনব্যাপী এ মেলা চলছে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি)। এতে ৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকবে স্টলগুলো।
মেলাপ্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, প্রথমদিন (শুক্রবার) সকালে তেমন দর্শনার্থী না থাকলেও বিকেলের দিকে বেড়েছে। ভিড় লেগেছে শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের।
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানগুলোই বেশি হারে মেলায় এলেও স্কুল পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।
দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এইচএসসি পরীক্ষার ফল বের হওয়ায় তাদের জন্য এ মেলা সুবিধা এনেছে। কেননা, এতে করে যাচাই করে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন তারা।
অভিভাবকরা বলছেন, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনেকটার পড়াশোনাই আন্তর্জাতিক মানের নয়। আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কাড়ি কাড়ি অর্থ ব্যয় হয়। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষাটা নেই। সেদিক থেকে ভারতের প্রতিষ্ঠানগুলো কেমন, মূলত সেটাই জেনে নিচ্ছেন।
এছাড়া ভিসা প্রক্রিয়া, যাতায়াত, শিক্ষার্থীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা প্রভৃতিও জেনে নিচ্ছেন। স্টলগুলোর কর্মকর্তারাও বলছেন, মেলাটা আসলে তথ্য সরবরাহ করার জন্যই। এখানে তারা তুলনামূলক একটি ধারণা নিচ্ছেন। যেটা তাদের সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করছে।
বাদল রায়হান নামে এক বেসরকারি চাকরিজীবী স্ত্রী-কন্যাকে নিয়ে মেলায় এসেছেন। বাংলানিউজকে বলেন, অষ্টম শ্রেণিতে মেয়ে বুবলী রায়হানকে ভারতের একটি স্কুলে ভর্তি করাতে চান। পশ্চিমবঙ্গের একটি প্রতিষ্ঠান তাদের পছন্দ।
‘মেয়ের একাডেমিক রেজাল্ট পাঠাতে হবে। সেটার ভিত্তিতে সেখানকার প্রতিষ্ঠান ভর্তি পরীক্ষা নেবে। ৬৫ শতাংশ নম্বর পেলে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে। মনে হচ্ছে সিস্টেমটা ভালো। টাকা-পয়সা সাধ্যের মধ্যে হলে ট্রাই করে দেখবো। ’
সিএসইতে ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে ছেলে সুমন চৌধুরীকে নিয়ে মেলায় এসেছেন রাহাত চৌধুরী। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে টিউশন ফি কম। থাকা-খাওয়ার ব্যয়ও খুব বেশি না। আরেকটু যাচাই করে ভেবে দেখবো। ভালো মনে হলে পাঠাবো।
'স্টাডি ইন ইন্ডিয়া' শীর্ষক মেলাটি ভারতের অ্যাফেয়ার্স এক্সিবিশনস প্রাইভেট লিমিটড ও বাংলাদেশের এ টু জেড স্টাডি আয়োজন করেছে। এতে সহযোগিতা করেছে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন।
ঢাকার পর তারা ২২-২৩ জুলাই চট্টগ্রামে এবং ২৫ জুলাই খুলনাতে এ মেলার আয়োজন করবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনের প্রথম সচিব (শিক্ষা) জিষ্ণু প্রসন্ন মুখার্জি বলেন, ভারত বিশ্বজুড়ে একটি বড় ব্র্যান্ড। অনেক বিষয় জানতে ও বুঝতে মানুষ সারা বিশ্ব থেকে এখানে আসে। ভারতে এসে বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান আহরণের জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদেরও সে সুযোগ নেওয়া উচিত।
মেলায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- এমিটি ইউনিভার্সিটি, অ্যাডামস ইউনিভার্সিটি, ব্রইনওয়্যার ইউনিভার্সিটি, দয়ানদা সাগর ইউনিভার্সিটি, শ্রী রামচদ্র ইনস্টিটিউট অব হায়ার এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ, আদিত্য এডুকেশনাল ইনস্টিটিউটস, এসআরএম ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিজ, আচার্য ইনস্টিটিউটস, এআইএমএস ইনস্টিটিউটস, সারদা ইউনিভার্সিটি।
সারদা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ অফিসের সিনিয়র কমিউনিকেশন কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম বলেন, মেলায় মূলত তথ্য সরবরাহ করতেই এসেছি। অনেকেই ভর্তির জন্য সব তথ্য নিচ্ছেন। অভিভাবক-শিক্ষার্থীদের বেশ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৯
ইইউডি/এএ