সোমবার (২২ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রীতিলতা হলের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
মিছিলে যোগ দিয়ে একাত্মতা পোষণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ঐক্যমঞ্চ, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ জাবি শাখা ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
সমাবেশে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক এ এস এম আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, আজকে মেয়েদের হল থেকে যে দাবি নিয়ে তোমরা এখানে এসেছো, আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থী ঐক্যমঞ্চ থেকে একই দাবি জানিয়েছি। আমরা লুটপাটের মাস্টারপ্ল্যান চাই না। বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু হল নির্মাণ করা হয়েছিল। যে হলগুলো এখন ভেঙে ফেলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কারণ হলগুলোতে নির্মাণ ত্রুটি এবং যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, তার পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার করা হয়নি। সরকার এখন যে অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে, তা দিয়ে আমরা চেয়েছিলাম সুন্দর একটা পরিকল্পনাকে সামনে রেখে কাজ করতে। কিন্তু উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের দাবি হেলায় ভাসিয়ে দিচ্ছে।
বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শামীমা সুলতানা বলেন, আমরা শিক্ষার্থী, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র বান্ধব উন্নয়ন চাই। আমরা উন্নয়নের অন্তরায় নই। কিন্তু উন্নয়নের নামে যে অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা, তার বিরোধিতা করছি। মেয়েদের হলগুলো হাইওয়ের পাশে হওয়ায়, তারা স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিতে থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প’র অধীন ছয়টি হল নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। গত ৩০ জুন উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম ১০তলা বিশিষ্ট পাঁচটি হল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। ছাত্রদের তিনটি হল বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব পাশে নির্মাণের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়া বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের দক্ষিণ পাশে টারজান পয়েন্ট সংলগ্ন স্থানে ছাত্রীদের দু’টি হল নির্মাণের লক্ষ্যে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে হলগুলো নির্মাণ করতে ১ হাজার ১৩২টি গাছ কাটা পড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৯
আরবি/