বুধবার (২১ আগস্ট) কমিশনের সঙ্গে সঙ্গে এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ইরাব) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির নেতারা স্বাক্ষাৎ করতে গেলে এ মত ব্যক্ত করা হয়।
ইউজিসির চেয়ারম্যান ড. কাজী শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে কমিশনের সদস্য ড. মোহাম্মদ আখতার হোসেন, ড. এম শাহ্ নওয়াজ আলি, ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, ড. মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন, কমিশনের সচিব ড. মো. খালেদ বক্তব্য রাখেন।
উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নানাবিদ অনিয়ম বন্ধে ইউজিসির ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করে বক্তারা বলেন, নিজস্ব ক্ষমতার সীমাবদ্ধতায় কমিশন অনেকটা অসহায়। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজস্ব আইনে পরিচালিত হয়। পাশাপাশি তদারকি করে ইউজিসি। পৃথক আইনে পরিচালিত হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। উচ্চশিক্ষার এসব প্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট আইন বাস্তবায়ন, নিয়ম-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সর্বোপরি দুর্নীতি বন্ধের জন্য ইউজিসি গঠিত হলেও অভিভাবক হিসেবে নিজস্ব প্রয়োগিক ক্ষমতার অভাবে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না।
এজন্য ইউজিসি পুর্নগঠন করে ‘উচ্চশিক্ষা কমিশন’ নামে নতুন প্রতিষ্ঠান করার প্রক্রিয়া চলছে যাতে কমিশনের নির্বাহী ক্ষমতা থাকা উচিত বলে মনে করেন তারা।
প্রচলিত ব্যবস্থায় সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ইউজিসি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেই দায়িত্ব শেষ করে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে সুপারিশ করে। কমিশনের এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন হয় খুব কম। এজন্য নির্বাহী ক্ষমতা পেলে নিজেই পদেক্ষেপ নিতে পারবে ইউজিসি।
অনুষ্ঠানে দেশের উচ্চশিক্ষার উন্নয়নে ইউজিসির সঙ্গে ইরাব যৌথভাবে কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৯
এমআইএইচ/এইচএ/