ঢাকা, রবিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৮ জুলাই ২০২৪, ২১ মহররম ১৪৪৬

শিক্ষা

২০১৮ সালের সিলেবাসে পরীক্ষা, কেন্দ্র সচিব বহিষ্কার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২০
২০১৮ সালের সিলেবাসে পরীক্ষা, কেন্দ্র সচিব বহিষ্কার

লালমনিরহাট: লালমনিরহাটে এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে বাংলা প্রথম পত্রে একটি কেন্দ্রে ১৯৩ জন পরীক্ষার্থীর ২০১৮ সালের সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগে কেন্দ্র সচিবকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জেলা প্রশাসক আবু জাফর বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।  

সদর উপজেলার বড়বাড়ি শহীদ আবুল কাশেম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কেন্দ্রের সচিব শফিকুল আলমকে দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এ কেন্দ্রে নতুন একজনকে কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
 
এসব পরীক্ষার্থী সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর উচ্চ বিদ্যালয়, কাজিচওড়া উচ্চ বিদ্যালয়, হীরামানিক উচ্চ বিদ্যালয় ও কাশিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

পরীক্ষার্থী অভিভাবক ও কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের অধীনে চলমান এসএসসি পরীক্ষার ৭০২ নম্বর কেন্দ্র লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ি শহীদ আবুল কাশেম উচ্চ বিদ্যালয়। এ কেন্দ্রে মোট ৮৬৭ জন পরীক্ষার্থী ছিল। সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে পুরাতন সিলেবাসের অধীনে অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীদের আলাদা কক্ষে পরীক্ষা নেওয়ার কথা থাকলেও কেন্দ্র সচিব তা করেননি। ফলে ২০২০ সালের সিলেবাসের অধীনে অংশ নেওয়া ওই কেন্দ্রের ১,২,৩,২০ ও ২১ নম্বর কক্ষের মোট ১৯৩ জন পরীক্ষার্থী ২০২০ সালের সিলেবাসের প্রস্তুতি নিলেও তাদের ২০১৮ সালের সিলেবাসের প্রশ্নে পরীক্ষা দিতে হয়েছে।  

পরীক্ষার শেষ সময় বিষয়টি কেন্দ্র সচিব বড়বাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল আলম জানতে পেয়ে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের কন্ট্রোলারসহ জেলা প্রশাসনকে অবগত করেন। বোর্ডের তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে ওই সকল পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র আলাদাভাবে বান্ডিল করে পাঠানো হয়েছে।  

এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত করে জেলা প্রশাসন কেন্দ্র সচিব এবং ওই সকল কক্ষে পরিদর্শনের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের বহিষ্কারের নির্দেশ দেন। এ নির্দেশনায় উপজেলা প্রশাসন কেন্দ্র সচিবকে বহিষ্কার করেন এবং কক্ষের পরির্শকদের বহিষ্কারের প্রক্রিয়া চলছে।  

বড়বাড়ি শহীদ আবুল কাশেম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সদ্য বহিষ্কৃত কেন্দ্র সচিব শফিকুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, বোর্ডের নির্দেশনা মোতাবেক ওই সকল পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র আলাদা করে পাঠানো হয়েছে। তবে এসব পরীক্ষার্থীর ফলাফলে কোনো প্রভাব পড়বে না।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার বাংলানিউজকে বলেন, দায়িত্বপ্রাপ্তদের অবহেলার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। এ কারণে কেন্দ্র সচিবকে বহিস্কার করা হয়েছে। কক্ষের পরিদর্শকদেরও বহিষ্কারের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।  

জেলা প্রশাসক আবু জাফর বাংলানিউজকে বলেন, দায়িত্বের অবহেলার দায়ে কেন্দ্র সচিবসহ কক্ষ পরিদর্শকদের বহিষ্কার করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের ফলাফলে যাতে প্রভাব না পড়ে তাই বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে উত্তরপত্রগুলো আলাদাভাবে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৩১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২০
আরকেআর/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।