ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

গণিত বাড়িয়ে দিলো সিলেট বোর্ডের পাসের হার

নাসির উদ্দিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪২ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২০
গণিত বাড়িয়ে দিলো সিলেট বোর্ডের পাসের হার

সিলেট: গণিত, ইংরেজি ও আইসিটি। এই তিন বিষয় হয়ে ওঠে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের ফল বিপর্যয়ের কারণ। বিগত বছরগুলোতে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট ও সমমানের পরীক্ষায় ফলাফলে ধ্বস নামিয়েছে এই তিন বিষয়। কখনো গণিত, কখনো বা ইংরেজি আবার আইসিটি হয়ে ওঠে শিক্ষার্থীদের ভীতির কারণ।

কিন্তু এবার বিগত বছরের তুলনায় সিলেট শিক্ষা বোর্ডের সূচক প্রায় ১০ শতাংশ বাড়িয়ে দিয়েছে গণিতের ভালো ফলাফল। ২০১৯ সালে গণিতে বেশি ফেল করার কারণেই সূচকর ২ শতাংশ পিছিয়ে ছিল এই বোর্ড।

ওই বছর গণিতে ফেল করার কারণে ৭০ দশমিক ৮৩ শতাংশ পাসের হার নিয়ে বোর্ডগুলোর মধ্যে সবার তলানিতে অবস্থান ছিল সিলেট শিক্ষা বোর্ডের।
অবশ্য এবার শিক্ষার্থীরা গণিতে ফলাফল কিছুটা ভালো করায় বোর্ডের পাসের সূচক বেড়েছে বলে দাবি করেছেন সিলেট শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কবীর আহমদ।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিবার গণিতে ফলাফল খারাপ করার কারণে সূচকে পিছিয়ে থাকে সিলেট শিক্ষা বোর্ড। তবে গত বছরের তুলনায় এবার গণিতে ভাল ফলাফল হয়েছে। যে কারণে পাসের হার গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। সেসঙ্গে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হারও বেড়েছে।

তিনি আরো বলেন, গত বছর এসএসসিতে গণিতে পাসের হার ছিল ৭৫ দশমিক ২৮ শতাংশ। এবার গণিতে পাসের হার ৮৫ শতাংশ। এই বিষয়ে পাসের হার ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া এ বছর জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতেও এগিয়েছে সিলেট। বোর্ডের অধীনে গত বছর ২ হাজার ৭৫৭ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছিল। এবার ৪ হাজার ২৬৩ জিপিএ-৫ পেয়েছেন। অবশ্য গ্রামাঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ফলাফল উন্নতি হলে বোর্ডের পাসের হার আরো বাড়তো বলে মনে করেন তিনি।
এবার সিলেট শিক্ষা বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ১ লাখ ১৬ হাজার ৪০৭ জন। এরমধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ১৬ হাজার ১০৪ জন। এরমধ্যে ছেলে ৪৯ হাজার ৮৬১ ও মেয়ে ৬৬ হাজার ২৪৩ জন। পাস করেছে ৯১ হাজার ৪৮০ জন। এরমধ্যে ছেলে ৩৯ হাজার ৫০৪ ও মেয়ে ৫১ হাজার ৯৭৬ জন। ছেলেদের পাসের হার ৭৯ দশমিক ২৩ এবং মেয়েদের পাসের হার ৭৮ দশমিক ৪৬। আর বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪ হাজার ২৬৩ জন শিক্ষার্থী।
বিজ্ঞান বিভাগে ২১ হাজার ৬৪০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২১ হাজার ৬০২ জন অংশ নিয়ে পাস করেছেন ১৯ হাজার ৫৪২ জন। অংশগ্রহণকারী ১০ হাজার ৩৩২ জন ছেলেদের মধ্যে পাস করেছেন ৯ হাজার ৪৯০ জন এবং ১১ হাজার ২৭০ জন মেয়ে অংশ নিয়ে পাস করেছেন ১০ হাজার ৫২ জন। বিজ্ঞানে মোট পাসের হার ৯০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এরমধ্যে ছেলেদের পাসের হার ৪১ দশমিক ২৭ এবং মেয়ে ৪৯ দশমিক ১৯ শতাংশ।

বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৩২ জন। এরমধ্যে ছেলে ১ হাজার ৯৭৪ এবং মেয়ে ১ হাজার ৯৫৮ জন।
মানবিক বিভাগে ৮৪ হাজার ৫৪৫ জন পরীক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করলেও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৮৪ হাজার ২৯৬ জন। এরমধ্যে পাস করেছেন ৬৩ হাজার ১৮ জন। মানবিক বিভাগ থেকে অংশ নেওয়া ৩৩ হাজার ৯৮৬ বালকের মধ্যে পাস করেছেন ২৫ হাজার ২০৫ এবং বালিকাদের মধ্যে ৩৭ হাজার ৮১৩ জন। মানবিকে মোট পাসের হার ৭৪ দশমিক ১৬ শতাংশ। এরমধ্যে ছেলেদের পাসের হার ৭৪ দশমিক ১৬ এবং মেয়েদের পাসের হার ৭৫ দশমিক ১৬ শতাংশ।  

মানবিকে জিপিএ-৫ প্রাপ্তের সংখ্যা ১৭০ জন। এরমধ্যে ছেলে ৪২ এবং মেয়ে ১২৮ জন।

ব্যবসা শাখায় ১০ হাজার ২২২ জন পরীক্ষার্থী থাকলেও পরীক্ষায় অংশ নেন ১০ হাজার ২০৬ জন। এরমধ্যে পাস করেন ৮ হাজার ৯২০ জন। এই বিভাগে ৫ হাজার ৫৪৩ জন ছেলে অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হন ৪ হাজার ৮০৯ জন এবং মেয়েরা ৪ হাজার ৬৬৩ জন অংশ নিয়ে পাস করেছেন ৪ হাজার ১১১ জন। এই বিভাগে মোট পাসের হার ৮৭ দশমিক ৭০ শতাংশ। এরমধ্যে ছেলেদের পাসের হার ৮৬ দশমিক ৭৬ এবং মেয়েদের পাসের হার ৪৪ দশমিক ১৬ শতাংশ।

ব্যবসা শাখায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৬১ জন। এরমধ্যে ছেলে ৬৫ এবং মেয়ে ৯৬ জন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২০
এনইউ/জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।