ঢাকা, রবিবার, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৮ জুলাই ২০২৪, ২১ মহররম ১৪৪৬

শিক্ষা

প্রাথমিকের উপবৃত্তি ২৫ জুনের মধ্যে না তুললে কোষাগারে জমা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৯ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২০
প্রাথমিকের উপবৃত্তি ২৫ জুনের মধ্যে না তুললে কোষাগারে জমা

ঢাকা: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আগামী ২৫ জুনের মধ্যে না তুললে তা সরকারি কোষাগারে জমা হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে সরকার। সরকারি কোষাগারে জমা হলে তা আর কোনোদিন তোলা যাবে না।

দেশের সব থানা/উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশনা দিয়ে গত ১৬ জুন (মঙ্গলবার) চিঠি পাঠিয়েছেন ‘প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রদান প্রকল্প-৩য় পর্যায়’ এর প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. ইউসুফ আলী।

চিঠিতে ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছর পর্যন্ত শিক্ষার্থীর অভিভাবকের মোবাইল অ্যাকাউন্টে পাঠানো উপবৃত্তির অনুত্তোলিত টাকা জরুরি ভিত্তিতে উত্তোলনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, ‘প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রদান ৩য় পর্যায়’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর অভিভাবকের মোবাইল অ্যাকাউন্টে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে উপবৃত্তির অর্থ পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, স্বল্প সংখ্যক অভিভাবকের মোবাইল অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন কিস্তিতে উপবৃত্তির অর্থ পাঠানো হলেও তা অলসভাবে ফেলে রাখা হয়েছে। অর্থাৎ উল্লিখিত অ্যাকাউন্টগুলো থেকে কোনো প্রকার অর্থ উত্তোলন করা হচ্ছে না। সরকার শিক্ষার্থীর লেখাপড়া চালিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য উপবৃত্তির অর্থ অভিভাবকদের মধ্যে বিতরণ করলেও ওই অর্থ দীর্ঘদিন মোবাইল অ্যাকাউন্টে ফেলে রাখা উল্লিখিত একাউটগুলো প্রকৃত সুবিধাভোগী অভিভাবকের নয় বলে প্রতীয়মান।

এমতাবস্থায়, উপবৃত্তি প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়নের পাশাপাশি সরকারি অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার প্রয়াসে যেসব প্রকৃত অভিভাবকের মোবাইল অ্যাকাউন্টে উপবৃত্তির অর্থ দীর্ঘদিন অনুত্তোলিত অবস্থায় বিদ্যমান রয়েছে, তা আগামী ২৫ জুনের মধ্যে উত্তোলনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা/নির্দেশনা দেওয়া জন্য অনুরোধ করা হলো।

চিঠিতে আরও বলা হয়, উল্লিখিত তারিখের পরে উক্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা করা হবে এবং অভিভাবকের অনুত্তোলিত ওই অর্থের কোনো প্রকার দাবি বিবেচনার কোন অবকাশ থাকবে না।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সব উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়।

এছাড়াও সব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের মনিটরিং অফিসারকে উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

রূপালী ব্যাংকের মাধ্যমে এই অর্থ পাঠাতে কারিগরি সহায়তা দিয়ে আসছে প্রগতি সিস্টেম লিমিটেড। প্রতিষ্ঠান দুটিকেও চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, প্রাথমিকে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ১০০ টাকা করে এবং প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের মাসিক ৫০ টাকা করে উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। প্রতি তিন মাস পর পর তারা উপবৃত্তির অর্থ পান। উপকারভোগীর সংখ্যা প্রায় এক কোটি ৪০ লাখ।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৮ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২০
এমআইএইচ/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।