ঢাকা, সোমবার, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৯ জুলাই ২০২৪, ২২ মহররম ১৪৪৬

শিক্ষা

বশেমুরবিপ্রবির কম্পিউটার চুরির তদন্ত কমিটির ১ সদস্যকে অব্যাহতি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২০
বশেমুরবিপ্রবির কম্পিউটার চুরির তদন্ত কমিটির ১ সদস্যকে অব্যাহতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ

গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) কম্পিউটার চুরির ঘটনায় গঠিত সাত সদস্যের তদন্ত কমিটির সদস্য পদ থেকে সহকারী রেজিস্ট্রার মো. নজরুল ইসলামকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তিনি ওই তদন্ত কমিটির সর্বশেষ নম্বর সদস্য ছিলেন।

 

মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) দিনগত রাতে হাতে পাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও কম্পিউটার চুরি বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মো. নূরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ আদেশ দেওয়া হয়।

গত ৯ আগস্ট এ বিষয়ে গঠিত সাত সদস্যের তদন্ত কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। দু’দিন বাকী থাকতেই একজন সদস্যকে অব্যাহতি দেওয়ায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

ওই চিঠিতে সহকারী রেজিস্ট্রার ও তদন্ত কমিটির সদস্য মো. নজরুল ইসলামকে জানানো হয়েছে যে, বশেমুরবিপ্রবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে কম্পিউটার চুরি যাওয়া বিষয়ক তদন্ত কমিটির কার্যক্রম সব প্রশ্নের ঊর্ধ্বে রাখার স্বার্থে তদন্ত কমিটির ছয়জন সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটির সদস্য পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।

এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি থেকে অব্যাহতি পাওয়া সহকারী রেজিস্ট্রার মো. নজরুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, তিনি এখন পর্যন্ত হাতে চিঠি পাননি। চিঠি হাতে পাওয়ার পর মন্তব্য করবেন।

উল্লেখ, ঈদের ছুটির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পেছন দিকের জানালা ভেঙে ৪৯টি কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গত ১০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ড. প্রফেসর নূরউদ্দিন আহমেদ বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন।  

গত ১৩ আগস্ট ঢাকার ক্রিস্টাল ইন হোটেল থেকে চুরি যাওয়া ৪৯টি কম্পিউটারের মধ্যে ৩৪টি কম্পিউটার উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় দুলাল ও হুমায়ুন কবিরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে প্রযুক্তিগত সহায়তায় গোপালগঞ্জ ও নড়াইল থেকে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী মাসরুল ইসলাম পনি শরীফসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। গত ১৫ আগস্ট গ্রেফতারকৃত সাতজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

এদিকে মঙ্গলবার কম্পিউটার চুরির রহস্য জনসম্মুখে প্রকাশ ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন ধরনের লেখা প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। এসময় শিক্ষার্থীরা কম্পিউটার চুরির পরিকল্পনাকারীদের নাম প্রকাশ ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তির দাবি জানান।  

বাংলাদেশ সময়: ০৫০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২০
আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।