ঢাকা, সোমবার, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৯ জুলাই ২০২৪, ২২ মহররম ১৪৪৬

শিক্ষা

বাকৃবিতে বায়োইনফরমেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি চালুর অনুমোদন

বাকৃবি করেসপন্ডন্টে | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২০
বাকৃবিতে বায়োইনফরমেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি চালুর অনুমোদন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

বাকৃবি (ময়মনসিংহ): বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বিএসসি ইন বায়োইনফরমেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং নামে একটি নতুন ডিগ্রি চালুর অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ থেকে ওই ডিগ্রি দেওয়া হবে।

শুক্রবার (২১ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ম্যাথমেটিক্স বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মোস্তাগীজ বিল্লাহ ইউজিসি কর্তৃক অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জানা যায়, ১৯৬৪-৬৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে যাত্রা শুরু করে কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ। এ অনুষদ থেকে বিএসসি ইন এগ্রিকালচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বিএসসি ইন ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং নামে ২টি ডিগ্রি দিয়ে আসছে। এখন ২০২০-২১ নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকে বিএসসি ইন বায়োইনফরমেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং নামে ডিগ্রিটিও এ অনুষদ থেকে দেওয়া হবে। প্রথমত ৩০ জন শিক্ষার্থীকে এ ডিগ্রি দেওয়ার জন্যে ভর্তি করা হবে।

এ সম্পর্কে মুহাম্মদ মোস্তাগীজ বিল্লাহ বলেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯ম ডিগ্রি হিসেবে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে বিএসসি ইন বায়োইনফরমেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি চালুর অনুমোদন দেওয়া হলো। ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির শিক্ষার্থীদের চার বছরের স্বপ্ন আজ সফল হলো। আমার বিভাগের বেশি সম্পৃক্ততা থাকায় এবং বিভাগীয় প্রধান হিসেবে আমি আমার বিভাগের পক্ষ থেকে বাকৃবি পরিবারের সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আজ এই সফলতার অংশীদার বাকৃবির সবাই। এই সাবজেক্ট মূলত বায়োলজি, কম্পিউটার সাইন্স, স্ট্যাটিস্টিক, ম্যাথম্যাটিক্স, ইনফরমেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কম্বাইন্ড সাব্জেক্ট। বায়োলজিক্যাল বড় বড় ডাটাগুলোকে ফিজিবল এবং আরো মডিফাই করার জন্য বিভিন্ন সফটওয়্যার ও মেথড ডেভেলপ করার জন্য এই সাবজেক্ট পড়ানো হয়।

তিনি আরোও বলেন, এগ্রিকালচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বায়োইনফরমেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মধ্যে পার্থক্য হলো এগ্রিকালচারাল ইঞ্জিনিয়াররা কাজ করবে মেকানাইজেশন নিয়ে আর বায়োইনফরমেটিক্স ইঞ্জিনিয়াররা কাজ করবে কম্পিউটার বেজড সফটওয়্যার ও বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে কৃষি গবেষণাকে সহজীকরণে। এছাড়া মেশিনকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে আরো গতিশীল করতেও এরা ভূমিকা রাখবে। কম্পিউটার সায়েন্স এবং এগ্রিকালচারাল সায়েন্সকে সমন্বয় করে দেশের কৃষি যুগোপযোগী উন্নয়ন করা উদ্দেশেই গড়ে তোলা হবে বায়োইনফরমেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রাজুয়েটদের।

বায়োইনফরমেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রাজুয়েটদের চাকরির বিষয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং কোম্পানির সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হয়েছে। তারা এমন গ্রাজুয়েট চান যাদের কম্পিউটার বিষয়ে দক্ষতা বেশি। বায়োইনফরমেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রাজুয়েটদের যেহেতু কম্পিউটারে পারদর্শী করে গড়ে তোলা হবে। তাই এসব গ্রাজুয়েটরা কৃষি বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং কম্পিউটার সায়েন্সের কর্মক্ষেত্রগুলোতে চাকরি করার সুযোগ পাবে বলে আশা করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।