ঢাকা, সোমবার, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৯ জুলাই ২০২৪, ২২ মহররম ১৪৪৬

শিক্ষা

আগস্ট আন্দোলনের অনলাইন আর্কাইভ দরকার: ঢাবি প্রক্টর

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২০
আগস্ট আন্দোলনের অনলাইন আর্কাইভ দরকার: ঢাবি প্রক্টর আগস্ট আন্দোলন নিয়ে ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০-২৩ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সংঘটিত আন্দোলনের অনলাইন আর্কাইভ করার কথা বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী।

রোববার (২৩ আগস্ট) রাতে সচেতন শিক্ষক-শিক্ষার্থী আয়োজিত ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কালো দিবস’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম এম আকাশের সভাপতিত্বে এবং সিন্ডিকেট সদস্য ও ঢাবির নীল দলের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন ঢাবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মেজবাহ কামাল, সামজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক ভূইয়া, রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা প্রমুখ।

সাবেক ছাত্রনেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শামসুল কবির রাহাত, মানবেন্দ্র দেব ও রফিকুল ইসলাম সুজন।

আলোচনা সভায় রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা আগস্ট আন্দোলন নিয়ে বর্তমানে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, মনে হচ্ছে সেদিনের আন্দোলন অদ্ভুতভাবে ঘটে গেছে। কয়েকজন জ্ঞানী শিক্ষক মিলে আন্দোলন করেছেন। ১৬ জুলাই বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হলো তখন আমরা কালো ব্যাজ পড়ে ক্লাস নিলাম। সেটিই ছিল মূল কারণ। কঠিন সময় ছিল। যখন হারুন স্যারকে ধরে নেওয়া হলো তখন কোন স্যারের কাছ থেকে আমরা সাহায্য পাইনি। তখন আমরা জীবন বাজি রেখে সিগনেচার ক্যাম্পেইন করেছি।

এই বক্তব্যের সূত্র ধরে ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, প্রতি বছর আমরা এই দিনটি স্মরণ করি, শিক্ষাগ্রহণ করে থাকি। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে দিবসটি আমরা পালন করে থাকি। আমরা কোন অন্যায় করিনি। অগণতান্ত্রিক ধারার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। এটা চলমান থাকবে। এটি বড় মাইলফলক। এটা লিখিত থাকা দরকার। আমি মনে করি আমরা যারা যুক্ত আছি অনলাইন আর্কাইভ করলে ক্রস চেক করতে পারব। বিকৃতি রোধে সহায়ক হবে।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সামাদ বলেন, সেই সময় সব সংগঠনের নেতাকর্মীরা আমাদের সহযোগিতা করেছিল। এই আন্দোলন সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ে। সামরিক সরকার বুঝতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়ে দমন-নিপীড়ন চালিয়ে ক্ষমতায় থাকা সম্ভব না। আমরা ছাত্রজীবন থেকে সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীত কিছু যেন না ঘটে সেদিকে আমাদের লক্ষ্য ছিল।

বাংলাদেশ সময়: ০০২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২০
এসকেবি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।