ঢাকা, সোমবার, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৯ জুলাই ২০২৪, ২২ মহররম ১৪৪৬

শিক্ষা

টাইমস্কেল ফেরত প্রদানের নির্দেশপত্র বাতিলের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২০
টাইমস্কেল ফেরত প্রদানের নির্দেশপত্র বাতিলের দাবি

ঢাকা: অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ৪৮ হাজার ৭২০ জন জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষকদের উত্তোলিত টাইমস্কেল ফেরত প্রদানের নির্দেশপত্র বাতিলের দাবি জানিয়েছে জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষক মহাজোট।  

শনিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষক মহাজোটের সভাপতি মোঃ আমিনুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক মহাসচিব রাধা রাণী ভৌমিক, বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ আব্দুর রহমান, বাংলাদেশ ডিজিটাল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) আবুল কাশেম আজাদ, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।  

মহাজোটের সভাপতি আমিনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, জাতীয়করণকৃত সহকারী শিক্ষকদের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক যতগুলো আইন ও পরিপত্র জারি করা হয়েছে তার কোনটাতেই জাতীয়করণের তারিখ ধরে গণনা করার কথা বলা হয় নাই। অন্যদিকে পৌনে আট বছর পর একই কায়দায় বিধি-৯ উপবিধি-১ এর ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে কিছু সংখ্যক ষড়যন্ত্রকারীর প্ররোচনায় জাতীয়করণ পূর্বের চাকুরীকাল গণনা না করে হিসাব রক্ষণ অফিসগুলো প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের উত্তোলনকৃত টাইমস্কেল ফেরত প্রদানের জন্য অপচেষ্টা চালাচ্ছে।  

তিনি বলেন, গত ১২ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক পৌনে আট বছর পর কর্মরত শিক্ষকদের ভোগকৃত টাইমস্কেল ফেরত প্রদানের জন্য এক পত্র জারি করেন। এরফলে ৪৮ হাজার ৭২০ জন শিক্ষক চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক শিক্ষক টাইমস্কেলসহ অন্যান্য সুবিধাদি ভোগ করে মৃতুবরণ কিংবা অবসরে চলে গিয়েছেন। এমতাবস্থায় অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক অন্যায়ভাবে জারিকৃত পত্রটি প্রত্যাহার করা একান্ত প্রয়োজন।  

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে তিনটি দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো: 
অর্থ মন্ত্রণালয়ের ১২ আগস্ট জারিকৃত পত্র বাতিল করতে হবে। অধিগ্রহণকৃত সহকারী শিক্ষকদের গেজেট অনুসারে কার্যকর চাকুরীকাল (৫০%) গননা করে জেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে পদোন্নতি প্রদানসহ এস এম সি কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত গেজেট থেকে বাদ পড়া প্রধান শিক্ষকদের নামের গেজেটে দ্রুত প্রকাশ করতে হবে৷

উল্লেখ্য, ১৯৭৩ সালে দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে ৩৬ হাজার ১৬৫টি প্রাখমিক বিদ্যালয় ও কর্মরত শিক্ষকদের চাকুরি জাতীয়করণ করা হয়েছিল। তার ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে এক ঐতিহাসিক শিক্ষক মহাসমাবেশে দেশের ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কর্মরত ১ লাখ ৪ হাজার ৭৭২ জন শিক্ষকের চাকুরি জাতীয়করণের ঘোষণা দেন। উক্ত ঘোষণা বাস্তবাযনের আলোকে প্রয়োজনীয় পরিপত্র ও গেজেট রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রকাশ করা হয়। উক্ত পরিপত্র ও গেজেটের আলোকে জাতীয়করণকৃত শিক্ষকরা আর্থিক সুবিধাদি গ্রহণ করে আসছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২০
জিসিজি/এমকেআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।