ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করলেন ঢাবির সহকারী প্রক্টর আবদুর রহিম

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২০
পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করলেন ঢাবির সহকারী প্রক্টর আবদুর রহিম সহকারী প্রক্টর আবদুর রহিম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ‘পূর্ববাংলার আর্থ-সামাজিক জীবন ও মুক্তিযুদ্ধ (১৯৪৭-১৯৭১)’ শীর্ষক অভিসন্দর্ভ রচনা করে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো. আবদুর রহিম।

বুধবার (০৯ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ ডিগ্রির অনুমোদন দেওয়া হয়।

এর আগে একাডেমিক কাউন্সিলেও গৃহীত হয় অভিসন্দর্ভটি। এই গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান।

বর্তমানে সহযোগী অধ্যাপক পদে কর্মরত মো. আবদুর রহিম ১৯৯১ সালে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রথম বিভাগে এসএসসি পাস করেন। ১৯৯৩ সালে একই বোর্ড থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধা তালিকায় ১৬তম স্থান অর্জন করেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ থেকে ১৯৯৬ (অনুষ্ঠিত ১৯৯৭) সালে ২য় শ্রেণিতে বি.এ (সম্মান) এবং একই বিভাগ থেকে ১৯৯৭ সালে (অনুষ্ঠিত ১৯৯৯) এম এ  পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম এ পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য তিনি ব্রিগেডিয়ার ডা. ইউনুস দেওয়ান স্বর্ণ পদক লাভ করেন। তিনি ২০০১ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে লেকচারার পদে তার কর্মজীবন শুরু করেন। পরে ২০১০ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন জার্নালে তার ১৭টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।

পূর্ববাংলার আর্থ-সামাজিক জীবন এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাব (১৯৪৭-১৯৭১) তার গবেষণার ক্ষেত্র। এছাড়াও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন দর্শন, বাংলাদেশের জনজীবনের ঐতিহাসিক ক্রমবিবর্তনের বিভিন্ন দিক নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি করছেন তিনি। বিশেষ করে এ অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর মানস গঠনে ব-দ্বীপ সমভূমির প্রভাব তার আগ্রহের বিষয়।

বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদে বর্তমান কর্মসংসদে দুই মেয়াদে (২০১৬-২০২০) যুগ্ম-সম্পাদক ও বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিতে ২০১৮-১৯ কাউন্সিলের সম্পাদক নির্বাচিত হন।  বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনকালে তিনি ৩০টিরও বেশি লেকচার ও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনার সফলভাবে আয়োজন করেন। বর্তমানে এশিয়াটিক সোসাইটি জার্নালের যুগ্ম-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ শিক্ষক দেশি-বিদেশি ৫টি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের জীবন সদস্য এবং পশ্চিম বঙ্গ আঞ্চলিক ইতিহাস ও লোক সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রের নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি গবেষণা পত্রিকা ইতিবৃত্তান্ত-এর সম্পাদক মণ্ডলীর একজন সদস্য।

বাংলাদেশ সময়: ২২১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২০
এসকেবি/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।