ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ভিসিহীন ইবি: আটকে আছে বেতন-ভাতা

ইবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০
ভিসিহীন ইবি: আটকে আছে বেতন-ভাতা ছবি: সংগৃহীত

ইবি: গত ২০ ও ২১ আগস্ট শেষ হয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ পদের নির্ধারিত চার বছরের মেয়াদ। গুরুত্বপূর্ণ এ দু’টি পদে এখনো কাউকে নিয়োগ না দেওয়ায় এক মাস ধরে শূন্য রয়েছে।

যার ফলে স্থবিরতা এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজে।

গত ১৯ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চলমান মাসের বেতন-ভাতার ফাইলে স্বাক্ষর করে রেখে যান সদ্য বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী। তিনি শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন পাস করে রেখে গেলেও বাদ পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২০ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, ৯৪ জন আনসার এবং ৮০ জন থোক (চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ) বরাদ্দে কাজ করা কর্মচারীদের বেতন-ভাতা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, বেতনের ফাইলে উপাচার্যের স্বাক্ষর ছাড়া ইবি ল্যাবরেটরি স্কুলের বেতনের জন্য বারদ্দ ১৪ লাখ টাকার বেশি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসারদের বেতনের প্রায় ১২ লাখ টাকা এবং থোক বরাদ্দের সাড়ে ১২ লাখ টাকা বেতন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

থোক বরাদ্দে থাকা একাধিক কর্মচারী বাংলানিউজকে বলেন, করোনার এ সময়ে আমরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ করে যাচ্ছি। এমনিতেই আমাদের বেতন কম। এ বেতন দিয়েই পরিবার পরিজন চলে। কিন্তু মাস শেষ হলেও আমরা আমাদের বেতন পাচ্ছি না। যার ফলে ধার দেনা করেই কষ্টে চালাতে হচ্ছে সংসার। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন, দ্রুত যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে আমাদের বেতন দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।

একই ধরনের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন আনসার সদস্যরাও। তারা জানান, মাস শেষে পরিবারের সদস্যরা তাকিয়ে থাকেন আমাদের বেতনের দিকে। নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকায় আমাদের বিকল্প কোনো উপার্জন সম্ভব হয় না। এর মধ্যে বেতন না পাওয়ায় মানবেতর দিন যাপন করতে হচ্ছে পরিবার নিয়ে।

এদিকে বেতন-ভাতা আটকে যাওয়ার আশঙ্কায় আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। চলতি মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ না হলে বেতনের ফাইলে স্বাক্ষর হবে না। ফলে চলমান মাসের বেতন না পাওয়ার আশঙ্কা আছে তাদেরও।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ বলেন, ভিসি স্যার চলে যাওয়ার সময় ওই মাসের বেতনের ফাইলে সই করে গেছেন। যে কারণে আমরা গত মাসের বেতন পেয়েছি। কিন্তু আমরা আনসার, স্কুলের শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের, মাস্টার রোলের কর্মচারীদের বেতন দিতে পারিনি। উপাচার্য না থাকায় তাদের বেতনের ফাইলে স্বাক্ষর দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া এ মাসে উপাচার্য নিয়োগ না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও বেতন-ভাতা বন্ধ হয়ে যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০
এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।