ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ইবির নিয়োগ বাণিজ্য: তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্তে দুদক

ইবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০
ইবির নিয়োগ বাণিজ্য: তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্তে দুদক অভিযুক্ত তিন শিক্ষক

ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষক নিয়োগে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগের বিষয়ে তিন শিক্ষককের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্ত তিন শিক্ষককে প্রধান কার্যালয়ে তলব করেছে দুদক।

পাশাপাশি সাক্ষ্যগ্রহণ ও তদন্তের স্বার্থে চাকরিপ্রত্যাশী আরিফ হাসান নাহিদকেও তলব করা হয়েছে।

অভিযুক্ত শিক্ষকরা হলেন- ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও সাবেক প্রক্টর ড. মাহবুবর রহমান, একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস এম আব্দুর রহিম এবং ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রুহুল আমিন।

আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অভিযুক্ত তিন শিক্ষককে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দেওয়ার করার অনুরোধ জানিয়েছে দুদক। দুদকের উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধানী কর্মকর্তা মো. আব্দুল মাজেদকে এ অভিযোগ তদন্ত ও প্রতিবেদনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি দায়িত্বরত কর্মকর্তা আব্দুল মাজেদের সই করা দুদকের পাঠানো এক চিঠির মাধ্যমে জানা গেছে।  

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর ড. মো. মাহবুবর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক রুহুল আমীন ও সহকারী অধ্যাপক এস এম আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে বক্তব্য গ্রহণ ও শ্রবণ করা একান্ত প্রয়োজন।

এদিকে দুদকের করা তদন্তের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফও নিশ্চিত করে তিনি জানান, গত বুধবারে (২৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে চিঠিটি আমার হাতে আসে। চিঠিতে তিন শিক্ষককে আগামী ২৭ তারিখ দুদকের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। চিঠিটি আমি তিনজন শিক্ষককেই পাঠিয়ে দিয়েছি।

জানা যায়, ২০১৮ সালের শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে একটি অডিও ফাঁস হয়। অডিওতে শিক্ষক নিয়োগে ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি উঠে আসে। ফাঁসকৃত অডিওতে ওই তিন শিক্ষকের সম্পৃক্ততা থাকলে প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করে। পাশাপাশি দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করলেও ড. মাহবুবর রহমানের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন। পরে ড. মাহবুবর বহমানকে কুষ্টিয়ায় দুদকে তলব করা হলেও মোটা অংকের উৎকোচ দিয়ে পার পেয়ে যান বলে অভিযোগ রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।