ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বেফাকের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হলেন মাহমুদুল হাসান

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২০
বেফাকের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হলেন মাহমুদুল হাসান আল্লামা মাহমুদুল হাসান

ঢাকা: কওমি মাদ্রাসার সবচেয়ে বড় শিক্ষা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও গুলশান আজাদ মসজিদের খতিব আল্লামা মাহমুদুল হাসান। এ পদে ছিলেন প্রয়াত আল্লামা শাহ আহমদ শফী।

তার মৃত্যুর কারণে নতুন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নির্বাচিত করা হলো। আগামী কাউন্সিল পর্যন্ত তিনি এ পদে থাকবেন।  

শনিবার (৩ অক্টোবর) যাত্রাবাড়ীর কাজলায় বেফাকের মজলিসে আমেলার বৈঠকে সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে তিনি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নির্বাচিত হন।

এ বোর্ডের অধীন একটি মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আমেলার বৈঠকে প্রায় ১২৫ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। আল্লামা মাহমুদুল হাসান পেয়েছেন ৬৬ ভোট। হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী পেয়েছেন ৫০ ভোট। আর হেফাজতের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী পেয়েছেন ৩ ভোট।

তিনজন প্রার্থী ছিল কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে কেউ প্রার্থী ছিল না। সদস্যরা গোপন ব্যালটে নিজেদের চয়েজমতো ভোট দিয়েছেন।

এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেছেন বেফাকের সহ-সভাপতি মুফতি ওয়াক্কাস। তার সঙ্গে ছিলেন খিলগাঁও মাখজানুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা নূরুল ইসলাম জিহাদী, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের মাদ্রাসায়ে নূরে মদিনার মুহতামিম আল্লামা নূরুল ইসলাম ওলিপুরী ও ঢালকানগর মাদ্রাসার মুহতামিম আল্লামা জাফর আহমদ।

মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ বলেন, কওমি মাদ্রাসা সরকার স্বীকৃত সর্বোচ্চ সংস্থা ‘আল-হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী  বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সভাপতি পদাধিকার বলে আল-হাইয়াতুল উলইয়ার সভাপতি হবেন। কারণ কওমি মাদ্রাসার যতগুলো বোর্ড আছে তার মধ্যে এ বোর্ডের অধীনে শতকরা ৯০ শতাংশ মাদ্রাসা রয়েছে। বাকী চার বোর্ডের অধীনে মাত্র ১০ শতাংশ মাদ্রাসা রয়েছে।

বেফাকের নতুন সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী ও মহাসচিব হলেন মাওলানা মাহফুজুল হক।

শনিবার বিকেলে মহাসচিব পদে গোপন ব্যালটে ভোট হয়। এতে মাওলানা মাহফুজুল হক পেয়েছেন ৭৩ ভোট। দ্বিতীয় হয়েছেন মাওলানা মোসলেহ উদ্দিন রাজু। তিনি পেয়েছেন ৪০ ভোট।  

সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে কোনো ভোট হয়নি। নব-নির্বাচিত ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা মাহমুদুল হাসান নূর হোসাইন কাসেমীর নাম প্রস্তাব করেন। এটা সবাই মেনে নেন।  

মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান বলেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি বেফাকের কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন।  

তিনি বলেন, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস সিনিয়র সহ-সভাপতি ও মহাসচিব পদে ছিলেন। তিনি আজকে পদত্যাগ করায় ওই পদ দু’টি শূন্য হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০২০
এমএইচ/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।