ঢাকা, সোমবার, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৯ জুলাই ২০২৪, ২২ মহররম ১৪৪৬

শিক্ষা

ধর্ষক, নিপীড়কদের দ্রুত শাস্তি চায় ঢাবির সাদা দল

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০২০
ধর্ষক, নিপীড়কদের দ্রুত শাস্তি চায় ঢাবির সাদা দল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: সারা দেশে অব্যাহত ধর্ষণ নিপীড়নের ঘটনায় অপরাধীদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।

মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

এতে সাদা দলের শিক্ষকরা বলেন, চলমান বৈশ্বিক করোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশে ধর্ষণ, নির্যাতনসহ নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংস আচরণ ব্যাপকহারে বৃদ্ধির ঘটনায় আমরা চরমভাবে উদ্বিগ্ন ও ক্ষুব্ধ। আমরা ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের সব ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।

তারা বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ করছি দেশে ধর্ষণ ও দলবদ্ধ ধর্ষণসহ নারী ও মেয়েশিশু নির্যাতনের ঘটনা প্রতিনিয়ত আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। ঘরে, বাইরে, কর্মক্ষেত্রে এমনকি পবিত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও নারীকে ধর্ষণ করা হচ্ছে। সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী নেতা-কর্মীদের দ্বারা তরুণী গৃহবধুকে গণধর্ষণ, খাগড়াছড়িতে আদিবাসী প্রতিবন্ধী কিশোরীকে গণধর্ষণ, নওগাঁতে গির্জায় আদিবাসী কিশোরীকে ধর্ষণসহ, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী, কুষ্টিয়া, ভোলা ও লালমনিরহাটসহ সারাদেশে সংঘটিত হয়েছে নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে যে ন্যাক্কারজনক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে তাতে আমরা বাকরুদ্ধ। ৫৬ হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশে ধর্ষণের উৎসবে নারী ও শিশুর চিৎকার এবং মা-বাবার আহাজারিতে দেশের বাতাস আজ ভারী হয়ে উঠেছে।

বিবৃতিতে উদ্বেগ জানিয়ে বলা হয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের ঘটনায় সরকার সমর্থক দলীয় নেতা-কর্মীদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। আমরা মনে করি রাজনৈতিক দুর্বৃত্ততন্ত্র এর জন্য দায়ী। ক্ষমতার দম্ভ ও রাজনৈতিক পরিচয়ে অপরাধের দায়মুক্তি ইত্যাদিসহ বিকৃত ভোগের হাতছানি কিছু মানুষের ভেতরকার মনুষ্যত্বকে মেরে পুনর্জন্ম দিচ্ছে ধর্ষক ও নির্যাতকের। এদের নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন নিরসন হবে না।

ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশ। স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তীর পাদদেশে দাঁড়িয়ে আমরা এদেশে কোনো ধর্ষিত, নিপীড়িত নারী ও শিশুর আর্তচিৎকার শুনতে চাই না। আমরা চাই নারী ও শিশুসহ সবার জন্য একটি নিরাপদ আবাসভূমি। আর এজন্য আমরা চাই ধর্ষক ও নিপীড়কদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। রাজনৈতিক বা অন্য কোনো পরিচয়ে কোনো ধর্ষক বা অপরাধী যেন ছাড় না পেয়ে যায় সেটি নিশ্চিত করাসহ সব অপরাধীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার জন্য আমরা সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০২০
এসকেবি/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।