ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

শিক্ষা

প্রথমদিনে টিকা নিলেন শাবিপ্রবির ১৯৫ শিক্ষার্থী

শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২১
প্রথমদিনে টিকা নিলেন শাবিপ্রবির ১৯৫ শিক্ষার্থী ছবি: বাংলানিউজ

শাবিপ্রবি (সিলেট): শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এতে প্রথমদিনে টিকা নিয়েছেন শাবিপ্রবির ১৯৫ জন শিক্ষার্থী।

শনিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মেডিক্যাল প্রশাসক অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রমের প্রথমদিনে ১৯৫ জনকে ফাইজারের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। এদিন প্রথমদিন মাস্টার্স ও চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হয়েছে। রোববার (১৬ অক্টোবর) থেকে অন্যান্য বর্ষের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে।

এর আগে, এদিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।  

এ সময় উপাচার্য বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরতে মুখিয়ে আছেন। আগামী ২৫ অক্টোবর যেহেতু ক্যাম্পাস ও হল খুলে দিচ্ছে। তাই আমরা তাদের অন্তত এক ডোজ টিকা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করছি। চেষ্টা থাকবে এর মধ্যে টিকা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে।

উপাচার্য আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেন বিদেশে পড়াশোনা করতে গিয়ে সমস্যায় না পড়ে সেজন্য আমরা ফাইজারের টিকা দিচ্ছি। যারা জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে টিকা পাননি এবং এনআইডি কার্ড ছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্ম নিবন্ধন দিয়ে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। বর্তমানে করোনার সংক্রমণ হার কমে গেছে মানে করোনা শেষ হয়ে যায়নি। আমাদের সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। মাস্ক পরিধান করতে হবে।  

টিকা দিতে আসা পরিসংখ্যান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আনিকা আনজুম বাংলানিউজকে বলেন, অনেকদিন ধরে টিকার জন্য অপেক্ষা করেছি। টিকা দিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হলো। অনেক ভালো লাগছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।

নৃবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মোতাহের হোসেন বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে। এটা ভালো দিক। এতে আমরা যারা বাইরে যেতে ইচ্ছুক, তাদের বিদেশ যেতে সমস্যা হবে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রশংসার দাবিদার।  

টিকা কার্যক্রম অনুষ্ঠানে মেডিক্যাল প্রশাসক অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেনের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মো. জহির বিন আলম, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক মো. জহীর উদ্দিন আহমদ, প্রক্টর ড. আলমগীর কবীর, বিভিন্ন হল প্রভোস্ট, রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ হাবিবুর রহমান, সিলেটের চিফ হেলথ অফিসার ড. মো. জাহিদুল ইসলাম, টিকাদান কার্যক্রমের পরিচালক হিমাংশু আচার্যসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, দপ্তর প্রধান, কমকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী রয়েছেন ৯ হাজার ২৪২ জন। এর মধ্যে এনআইডি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন, তবে টিকার কোনো ডোজ পাননি ১ হাজার ৩২৩ জন। টিকার প্রথম ডোজ সম্পন্ন করেছেন ১ হাজার ৭৪৯ জন। দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করেছেন ১ হাজার ৪ জন। জন্ম নিবন্ধন দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৫৩৬ জন। এখনও টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেননি ৩ হাজার ৪১৩ জন শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮টি বিভাগের মধ্যে ২৪টি বিভাগ এ তথ্য দিয়েছে, অন্য ৪টি বিভাগ এখনও কোনো রকম তথ্য দেয়নি।

বাংলাদেশে সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২১
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।