ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

প্রশাসনিক ভবনে অবরুদ্ধ রবি’র শিক্ষক-কর্মকর্তা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২১
প্রশাসনিক ভবনে অবরুদ্ধ রবি’র শিক্ষক-কর্মকর্তা অবরুদ্ধ শিক্ষক-কর্মকর্তা। ছবি: বাংলানিউজ

সিরাজগঞ্জ: ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কাটার ঘটনায় শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের স্থায়ী বরখাস্তের দাবিতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলনের একপর্যায়ে প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে তারা। ফলে অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছেন রেজিস্ট্রার-শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

রোববার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর থেকে অবরুদ্ধ রয়েছেন শিক্ষক, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, শিক্ষক ও কর্মকর্তারা-কর্মচারীরা।  

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র ওমর ফারুক ডলফিন মধ্য রাতে বাংলানিউজকে জানান, সন্ধ্যার দিকে রেজিস্ট্রার ও শিক্ষকসহ কর্মকর্তারা এসেছিলেন আমাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য। কিন্তু আমাদের দাবি মেনে না নেওয়ায় প্রধান ফটকে তালা দিয়ে আমরা বাইরে অবস্থান করছি। এখন পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের ভেতরে ৩০/৩৫ জন শিক্ষক-কর্মকর্তা রয়েছেন। আমরা বাইরে রয়েছি। ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের স্থায়ী বরখাস্ত না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখানে অবস্থান করবো।  

তদন্ত কমিটির প্রধান ও রবীন্দ্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান লায়লা ফেরদৌস হিমেল বলেন, তারা ভেতরে অবরুদ্ধ রয়েছেন। বাইরে থেকে তালা দিয়ে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। রাত ১২টার দিকে ১২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী পেছনের গেট দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারলেও এখন রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে ২২ জন আটকা পড়ে রয়েছি।  

জানা যায়, ২৬ সেপ্টেম্বর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যায়ন বিভাগের ১৪ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেন বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিন। অপমান সহ্য করতে না পেরে সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে নাজমুল হাসান তুহিন নামে এক ছাত্র অতিমাত্রায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা বর্জন করে একাডেমিক এবং প্রশাসনিক ভবনে তাল ঝুলিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ করেন। ওইদিন রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান, সহকারী প্রক্টর ও সিন্ডিকেট সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন। ঘটনার তদন্তে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও স্থায়ী বরখাস্তের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলতেই থাকে। একপর্যায়ে শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে আন্দোলন থেকে সরে আসেন শিক্ষার্থীরা।  

এদিকে বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় কমিটি। শুক্রবার (২২ অক্টোবর) সিন্ডিকেট মিটিংয়ে ওই প্রতিবেদনের আলোকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সিদ্ধান্ত ছাড়াই সিন্ডিকেট সভা মূলতবি হওয়ায় রাতেই ফের আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। রোববার দিনভর মহাসড়ক অবরোধ, অনশন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা। আন্দোলন চলা অবস্থায় দুজন শিক্ষার্থী আত্মহত্যারও চেষ্টা করেন।  
  
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।