ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

মুজাহিদকে আবারও নিজেদের কর্মী দাবি চবি ছাত্রলীগের

চবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১২

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি শিবির-ছাত্রলীগ সংঘর্ষে নিহত মুজাহিদকে আবারও নিজেদের কর্মী বলে দাবি করেছে চবি ছাত্রলীগ।

তারা জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ ঢাকায় অবস্থান করলে শিবির পূর্ব পরিকল্পিতভাবে নাশকতার মাধ্যমে ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করে তুলে।



চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ । এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মামুনুল হক মামুন।

মামুন লিখিত বক্তব্যে বলেন, শিবির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে নাশকতা সৃষ্টি করে আমাদের নেতা-কর্মীদের হত্যা এবং নানাভাবে নির্যাতন করছে। আর শুধু হত্যা করেই তারা কান্ত হয়নি, শুরু করে লাশ নিয়ে রাজনীতি।

মুজাহিদকে ছাত্রলীগের বগি ভিত্তিক সংগঠন ‘এপিটাফ’র সদস্য এবং ছাত্রলীগের কর্মী দাবি করে তিনি বলেন, শিবির আমাদের ছাত্রলীগের কর্মী মুজাহিদকে তাদের কর্মী দাবি করছে। এর আগেও ছাত্রলীগ কর্মী মহিউদ্দিন মাসুম হত্যাকাণ্ডের সময়ও  তাকে নিজেদের কর্মী দাবি করেছিল শিবির। কিন্তু যখন মাসুমের বাবা সংবাদ সম্মেলন করে বললেন, তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা, তার ছেলে শিবির করত না। তখন শিবিরের আসল মুখোশ উন্মোচন হয়ে যায়।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জাবাবে মামুনুল হক বলেন, মুজাহিদের বাবা জানতেন না মুজাহিদ কোন রাজনীতি করতো। শিবির তাকে প্ররোচনায় ফেলে এসব করাচ্ছে।

ছাত্রলীগের চবি সভাপতি বলেন, মাসুমকে তাদের কর্মী বানাতে ব্যর্থ হয়ে এবার নিহত মুজাহিদের বৃদ্ধ বাবা ছেলে হারানোর শোকে মানসিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় ও ভয়ভীতি দেখিয়ে শিবির কর্মী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে প্রচেষ্টা চালচ্ছে। তাদের এমন রাজনীতিকে ছাত্রলীগ ধিক্কার জানায়।  
এসময় তিনি ৮ দফা দাবি তুলে ধরেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে। এগুলো হলো- মুজাহিদসহ সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার; ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সকল মামলা প্রত্যাহার; হতাহতদের ক্ষতিপূরণ প্রদান; অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার আহ্বান; ৮ ফেব্রুয়ারি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে মৌলবাদী শিবির ক্যাডারদের গ্রেফতার ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার এবং সকল হল-কটেজ বহিরাগত শিবির ক্যাডার মুক্ত করা; ঢাবি, জাবির ন্যায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা; হলে অবস্থানরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা এবং শাটল ট্রেনে নিরাপত্তা ও বগি বৃদ্ধি করা।

এরপর তিনি ১৭ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন কর্মসূচির ঘোষণা দেন। ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান; ২০ ফেব্রুয়ারি শোক র‌্যালি ও মানববন্ধন; ২২ ফেব্রুয়ারি চবি ১ নম্বর গেইটে মিলাদ মাহ্ফিল; ২৪ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী এবং ২৫ তারিখে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল মনসুর সিকদার, সহ-সভাপতি রন্টু দাশ, যুগ্ম-সম্পাদক তানজিম আহমেদ, মো. সুমন মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, রোবায়েত হোসেন নিপুন, চবি ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল মনসুর জামশেদসহ নগরীর বিভিন্ন নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।