ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

ইবি শাপলা ফোরামের সভাপতি ড. আনোয়ার, সম্পাদক ড. মামুন

ইবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২১
ইবি শাপলা ফোরামের সভাপতি ড. আনোয়ার, সম্পাদক ড. মামুন ড. আনোয়ার হোসেন (সভাপতি ) ও ড. মামুনুর রহমান (সাধারণ সম্পাদক)

ইবি (কুষ্টিয়া): ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরাম কার্যনির্বাহী কমিটি-২০২১ এর সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন। আর সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন চারুকলা বিভাগের সভাপতি ও ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান।


 
শনিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে শাপলা ফোরামের কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত হয়।  

সভায় শাপলা ফোরামের নির্বাচনে নির্বাচিত পরিষদের সদস্যদের মধ্যে থেকে উপস্থিত সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচিত হন এ দুই শিক্ষক।

কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল হক স্বপন, অর্থ সম্পাদক পদে অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা নির্বাচিত হয়েছেন।

কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফীন, অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, অধ্যাপক ড. মেহের আলী, অধ্যাপক ড. শাহজাহান মণ্ডল, অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার, অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল হক, অধ্যাপক ড. শেলিনা নাসরীন, সহযোগী অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ।

জানা যায়, গত ২০ নভেম্বর শাপলা ফোরামের কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে প্রগতিশীল শিক্ষকদের প্রত্যক্ষ ভোটে ১৫জন শিক্ষক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়। শাপলা ফোরামের কার্যনির্বাহী সভায় উপস্থিত নির্বাচিত সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ পাঁচ পদে উপরোক্ত শিক্ষকরা নির্বাচিত হন। নিয়মানুযায়ী বাকি ১০ জন শিক্ষক কার্যনির্বাহী পদে থাকবেন।

এদিকে, গত ২০ তারিখে অনুষ্ঠিত হওয়া শাপলা ফোরামের নির্বাচনে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পরিষদের নির্বাচিত ছয় সদস্য।  

সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।

সম্মেলনে বক্তারা বলেন, নির্বাচনে প্রতিপক্ষ থেকে দু’জন পর্যবেক্ষকের পরিবর্তে একজন পর্যবেক্ষকের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ভোট দেওয়ার নির্দেশনার ২ ও ৫ ধারা লঙ্ঘন করে অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ৭ নম্বর ধারার অপপ্রয়োগ করা হয়েছে। ভোট গণনা শুরুর আগে উভয়পক্ষের নেতাদের ভোট গণনা কার্যক্রম অনলাইনে সম্প্রচার করার অনুমতি দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।

একইসঙ্গে ফলাফল কারচুপির উদ্দেশে প্রকাশে অস্বাভাবিক সময় নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ আনা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নামে। এছাড়াও আরও একাধিক অভিযোগ আনেন তারা।

এ বিষয়ে ইসির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সরওয়ার মোর্শেদ বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলন তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। ভোট গণনাকালে তাদের পক্ষের প্রতিনিধি ছিলেন। যদি পক্ষপাতিত্ব হয়ে থাকে, তবে তাদের প্রতিনিধিকে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত করানো প্রয়োজন ছিল। আমরা তিনজন যথেষ্ট স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছি। ’

বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২১
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।