ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

শিক্ষা

জাফর ইকবাল দম্পতিকে ইমেরিটাস প্রফেসর চান শিক্ষার্থীরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২
জাফর ইকবাল দম্পতিকে ইমেরিটাস প্রফেসর চান শিক্ষার্থীরা

সিলেট: জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক ও শিক্ষক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং তার স্ত্রী ইয়াসমিন হককে ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে চেয়েছেন শাবিপ্রবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল সিলেট সার্কিট হাউসে মন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে আলোচনায় বসেন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা বিষয়টি তুলে ধরে।

আলোচনায় শাবিপ্রবি উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগসহ কয়েকটি বিষয় তারা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করেন। এর মধ্যে রয়েছে ক্লাস-পরীক্ষা চালু করা, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করা, বন্ধ থাকা অ্যাকাউন্ট চালু করা, নবম গ্রেডের চাকরিসহ সজল কুণ্ডুকে এককালীন আর্থিক সাহায্য দেওয়া, সব বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতে বাজেট বাড়ানো, পরীক্ষা পদ্ধতিতে কোডিং সিস্টেম কার্যকর করা, পিএইচডি এবং ডেমো ক্লাসের ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মো. ওমর ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমাদের প্রথম দাবি উপাচার্যের পদত্যাগ। পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রীর কাছে মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার ও ইয়াসমিন হক ম্যামকে ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। উনি উচ্চ মহলের সঙ্গে আলোচনা করে আমাদের জানাবেন। এটি না মানলে আমরা আলোচনা করে বাকি সিদ্ধান্ত নেব। ’

এদিন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অনুবিভাগের সেক্রেটারিসহ তিন কর্মকর্তা। শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদলে রয়েছেন- মোহাইমিনুল বাশার রাজ, ইয়াসির সরকার, নাফিসা আনজুম, সাব্বির আহমেদ, আশিক হোসাইন মারুফ, সাবরিনা শাহরিন রশীদ, সুদীপ্ত ভাস্কর, শাহরিয়ার আবেদীন, আমেনা বেগম মীর রানা ও জাহেদুল ইসলাম অপূর্ব।

গত ১৩ জানুয়ারি শাবিপ্রবির বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্টের বিরুদ্ধে অসদাচরণসহ বিভিন্ন অভিযোগে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন কয়েকশ ছাত্রী।

১৬ জানুয়ারি দাবি আদায়ের লক্ষ্যে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করা অবস্থায় পুলিশ সদস্যরা শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে। এ সময় শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে শটগানের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়। পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এক দফা দাবিতে রূপ নেয়।

দাবি পূরণ না হওয়ায় ১৯ জানুয়ারি বিকেল ৩টা থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসেন ২৪ শিক্ষার্থী।

২৬ জানুয়ারি সকালে অনশনস্থলে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী ইয়াসমিন হক। তারাই শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙান।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২
এনইউ/এসআইএস/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।