ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ঢাবিতে শতবর্ষের মিলনমেলা ১২ মার্চ

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২২ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২২
ঢাবিতে শতবর্ষের মিলনমেলা ১২ মার্চ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শতবর্ষ, মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে উপজীব্য করে আগামী ১২ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পুনর্মিলনী।  

বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এ উপলক্ষে একটি সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

এতে বক্তব্য রাখেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদ ও মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার।

এ কে আজাদ বলেন, শতবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে পৌঁছানোর কথা ছিল সেখানে আসতে পারেনি। আমরা দেখেছি বিশ্বের ১০০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিংয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়র ১০০ র‌্যাংকিংয়ের ভেতরে আনতে আমাদের সংগঠন কাজ করছে। আমরা জানি এ অঞ্চলে শুধু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল, যেখানে ধনী ও উচ্চশ্রেণির লোকেরা পড়াশোনা করতে পারতো। গরিবরা এ সুযোগ পেত না। সব শ্রেণির উচ্চশিক্ষা নিশ্চত করার লক্ষ্যে নবাব স্যার সলিমুল্লাহ, নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের মতো মানুষের প্রচেষ্টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ৩০/৪০ বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সুযোগ-সুবিধাগুলো ছিল সেগুলো দিন দিন কমে আসছে। আপনারা দেখবেন ৬০-এর দশকের পাঠাগার, মেডিক্যাল সেন্টার কিন্তু এখনো আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বাড়লেও সেগুলোর ধারণ ক্ষমতা ও সক্ষমতা বাড়েনি। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০-৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী অর্থাভাবে যথাযথভাবে তাদের শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারে না। ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন তাদের জন্য কাজ করবে।

তিনি বলেন, আমরা বছরে সাড়ে তিন কোটি থেকে চার কোটি টাকা বৃত্তি প্রদান করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চের জন্য যে বাজেট প্রয়োজন সে পরিমাণ বাজেট সরকার থেকে আসছে না। আমরা সেখানে অনুদান দিতে চাই।  

এ কে আজাদ বলেন, ইতোমধ্যে ৯ হাজার ৩৩৭ জন সদস্য ও তাদের স্ত্রীসহ ১১ হাজার ৩২৭ জন রেজিস্ট্রেশন করেছেন। সবার প্রতি অনুরোধ যারা যারা রেজিস্ট্রেশন করতে পারেননি তারা সবাই রেজিস্ট্রেশন করবেন।  

মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার অনুষ্ঠানসূচি জানিয়ে বলেন, আগামী ১২ মার্চ কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে অ্যালামনাই ও অতিথিরা প্রবেশ করবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সকাল ১০টায় পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহ থেকে পাঠ ও শোক প্রস্তাবের মাধ্যমে শুরু হবে। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে প্রকাশিত গ্রন্থসমূহের মোড়ক উন্মোচন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ শিল্পীর ১০০ ছবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্রপ্রদর্শনী উদ্বোধন হবে। এরপর সম্মানিত অতিথিরা বক্তব্য রাখবেন। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে ‘বাংলাদেশের পদযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান পালিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। তারপর বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ জন্য গুণীজনকে মরণোত্তর সম্মাননা দেওয়া হবে। এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন সংগীত পরিবেশন করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছার, আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ), যুগ্ম মহাসচিব আশরাফুল আলম মুকুল, সুভাষ সিংহ রায়, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১০২১ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২২
এসকেবি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।