ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির তৃতীয় সমাবর্তন

সিজারাজ জাহান মিমি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১২
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির তৃতীয় সমাবর্তন

ঢাকা : ২৬ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির তৃতীয় সমাবর্তন।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আচার্য জিল্লুর রহমান, শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উচ্চ শিক্ষা বিভাগের মন্ত্রী শ্রী ব্রাত্য বসু, ড্যাফোডিল ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সবুর খান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.এম লুৎফর রহমান, বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ এবং শিক্ষার্থীসহ অন্যান্যরা।



এবারের সমাবর্তনে বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ২৬০০ শিক্ষার্থী স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রাপ্ত হয় এবং জিপিএ ৪ পয়েন্টপ্রাপ্ত চারজন শিক্ষার্থীকে স্বর্ণ পদক প্রদান করা হয়।

রাষ্ট্রপতির ঘোষণা অনুসারে স্ব স্ব অনুষদ প্রধানরা ডিগ্রি প্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করেন।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ও রাষ্ট্রপতি উভয়ের মধ্যে সন্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

ভারেতর পশ্চিমবঙ্গের উচ্চ শিক্ষা বিভাগের মন্ত্রী শ্রী ব্রাত্য বসু সমাবর্তনে বক্তব্য রাখেন। এসময় তিনি সকল সদ্য ডিগ্রীধারী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনের শীর্ষ স্থান অর্জনের জন্য শুভেচ্ছা জানান।

পাশাপাশি অভিবাবক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাদাতাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও অবদান যা তাদের এই অবস্থানে পৌঁছাতে সক্ষম করেছে এজন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

তিনি আরও বলেন, তাদের এই ত্যাগ কখনও বৃথা যাবেনা। এছাড়া তিনি উভয় দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে সবুর খান বলেন, যাত্রার দশ বছরে আমাদের অনেক সফলতা এসেছে ৫ হাজার উপযুক্ত গ্র্যাজুয়েট বেরিয়েছে। গুণগত ও যথাযত শিক্ষা নিশ্চিত করায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ড্যাফোডিল একটি স্থান করতেও সক্ষম হয়েছে। এছাড়া প্রযুক্তির অগ্রসর অনুযায়ী সাবির্ক সুবিধা নিশ্চিত করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের সঙ্গে একাগ্রতার লক্ষ্যে তৃণমূল পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ ঘটাতে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।

শিক্ষামন্ত্রী বক্তব্যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি ২০১১ সালে চালু হওয়া ‘ওয়ান স্টুডেন্ট ওয়ান ল্যাপটপ’ কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানান। এছাড়া ২০১০ সালে প্রণীত শিক্ষানীতি অনুযায়ী পরিচালিত প্রতিষ্ঠানটির আগামী দিনের আরও সাফল্য প্রত্যাশা করেন।

উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতি তার ভাষণে আপোষহীন শিক্ষার কথা তুলে ধরেন।

দিতীয় পর্যায়ে ডিগ্রি প্রাপ্তরা ফটোশসশনে অংশ নেন এরপর প্রতিজন শিক্ষার্থীদের মাঝে পেন ড্রাইভ বিতরণ করা হয়। সবশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষ হয়।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাসুদ ইবনে রহমান।

বাংলাদেশ সময় : ১৩২৬ ঘণ্টা, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।