ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ব্যাচ ভিত্তিক নিয়োগের দাবি প্যানেল প্রত্যাশী নিবন্ধিত শিক্ষকদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২২
ব্যাচ ভিত্তিক নিয়োগের দাবি প্যানেল প্রত্যাশী নিবন্ধিত শিক্ষকদের

ঢাকা: এনটিআরসিএ’র শুরুতে উদ্দেশ্য ভালো থাকলেও কোনো এক অজানা রহস্যের বেড়াজালে আজও বন্দি বলে মনে করছেন প্যানেল প্রত্যাশী নিবন্ধিত শিক্ষকরা। তারা নিবন্ধিত চাকরি প্রত্যাশীদের ব্যাচ ভিত্তিক নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই দাবি জানান।

সেই সঙ্গে তারা স্ব স্ব নীতিমালায় নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত নিবন্ধন পরীক্ষা বন্ধ রাখাসহ ইনডেক্সধারীদের প্যানেলের অন্তর্ভুক্ত না করে আলাদা বদলির ব্যবস্থা করারও দাবি জানান।

লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জি এম ইয়াছিন বলেন, ১৩৬ দিন থেকে আমরা গণঅনশন, সারাদেশের জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী, এনটিআরসিএ, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি), শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার স্মারকলিপি দিলেও বিষয়টি সমাধানে কেউ এগিয়ে আসছেন না।

তিনি বলেন, ২০০৫ সালের ২০ মার্চ এনটিআরসিএ'র মাধ্যমে পরীক্ষা গ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় সনদের মেয়াদ পাঁচ বছর বলবৎ থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়। পরবর্তীতে সরকার জনস্বার্থের কথা বিবেচনা করে ২০০৬ সালে সনদের মেয়াদের উক্ত সীমাবদ্ধতা বিলোপ করে একটি সংশোধনী আনে। শুধু তাই নয়, ২০১৩ সালের ৩ জুলাই  তৎকালীন চেয়ারম্যান (অতি: সচিব)  আশীষ কুমার সরকার এক চিঠিতে উল্লেখ করেন সব ক্ষেত্রেই এটিআরসিএ কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়ন পত্রের মেয়াদ প্রার্থীর চাকরি যোগ্য বয়স পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এখানেই শেষ নয়, ২০০৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি এটিআরসিএ প্রতিষ্ঠা করার সময় ১০ (১) ধারার উল্লেখ করা হয়েছিল কর্তৃপক্ষ সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের উদ্দেশ্যে যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রণয়ন, নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন করবে |

এরপর ২০০৬ সালের ৩০ জুলাই গেজেটে ৩(ক) এর (১) ধারায় উল্লেখ করা হয়, কর্তৃপক্ষ প্রতিবছর নভেম্বর মাসের মধ্যে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে জেলার সংশ্লিষ্ট বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদের তালিকা সংগ্রহ করবে। শুধু তাই না, ৯ (ঘ) ধারায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মেধাভিত্তিক মূল তলিকা ছাড়া শূন্যপদের সংখ্যার অতিরিক্ত শতকরা ২০ শতাংশ প্রার্থীদের সমন্বয়ে অপেক্ষমান তালিকা করা যাবে এবং মৃত্যু, চাকরি ত্যাগ, অনিচ্ছুক বা অন্য কোনো কারণে পছন্দ হলে উক্ত তালিকা থেকে শিক্ষক নিয়োগ হবে।

উক্ত ধারাগুলো পর্যালোচনা করে সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণ হয় যে, এনটিআরসিএ’র শুরুতে উদ্দেশ্য ভালো থাকলেও কোনো এক অজানা রহস্যের বেড়াজালে তারা আজ বন্দি। ফলে এই অসহনীয় যন্ত্রণা ও করুণ হৃদয়বিদারক অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য এবং এনটিআরসিও অদূরদর্শিতা ও অনিয়ম থেকে পরিত্রাণের আমরা শিক্ষামন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি আমীর হোসেনসহ ভুক্তভোগী প্যানেল প্রত্যাশী নিবন্ধিত শিক্ষকরা বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩১ ঘণ্টা, ১৮ অক্টোবর, ২০২২
এমকে/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।