ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ক্লাসে বসা নিয়ে বিরোধ

কর্মীকে দিয়ে সহপাঠীকে মারধর ইবি ছাত্রলীগ নেতার

ইবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২২
কর্মীকে দিয়ে সহপাঠীকে মারধর ইবি ছাত্রলীগ নেতার ছাত্রলীগ নেতা শিমুল (বামে) ও কর্মী রিয়ন

ইবি (কুষ্টিয়া): শ্রেণিকক্ষে বসা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে নিজ দলের কর্মীকে দিয়ে সহপাঠীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি)  আসিফ আহমেদ শিমুল নামে এক ছাত্রলীগ নেতার নামে। মারধরকারী ছাত্রলীগ কর্মীর নাম সাইফুল ইসলাম রিয়ন।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাণিজ্য অনুষদ সংলগ্ন রহিমের চায়ের দোকানে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

অভিযুক্ত আসিফ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ও সাইফুল আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।  আর ভুক্তভোগী ছাত্রের নাম  শিবলী আলী।

এ ঘটনায় ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় সভাপতি, প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ছাত্র।

এদিকে ঘটনা খতিয়ে দেখতে দুই সদস্যের কমিটি করেছেন প্রক্টর। তারা হলেন- সহকারী প্রক্টর ড. আমজাদ হোসেন ও ড. মুর্শিদ আলম।

লিখিত অভিযোগ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে শ্রেণিকক্ষে একটি বেঞ্চে ব্যাগ রেখেছিলেন শিমুল। সেই ব্যাগ সরিয়ে বসেন শিবলী। এসময় শিমুল কক্ষে গিয়ে তার ব্যাগ সরানোর কারণ জানতে চাইলে উভয়ের মাঝে বাকবিতণ্ডা হয়। এসময় শিবলীকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন শিমুল।

পরে ক্লাস শেষে বাণিজ্য অনুষদ সংলগ্ন রহিমের চায়ের দোকানে বসেছিলেন শিবলী। এসময় ছাত্রলীগ কর্মী এবং আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের রিয়নসহ অন্তত ৫-৭ জন অতর্কিত তার ওপর হামলা করে। এসময় শিবলীর বন্ধুরা তাকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যান।

ভুক্তভোগী শিবলী বলেন, আমি ক্লাসে বেঞ্চে বসেছিলাম। ক্লাস শুরুর আগে ওই বেঞ্চ থেকে শিমুল আমাকে উঠতে বলে। আমি রাজি না হলে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। আমার সহপাঠী শিমুলের মদদে এই হামলা করা হয়েছে। এমতবস্থায় আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি। আমি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

অভিযুক্ত আসিফ আহমেদ শিমুল বলেন, ক্লাসের বেঞ্চে বসা নিয়ে শিবলীর সঙ্গে ছোট্ট একটা ঝামেলা হয়েছিল। আমার ব্যাগ সরিয়ে সে বেঞ্চে বসেছিল। ফ্যাকাল্টির সামনে এনিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে রিয়ন সেখানে আসে। এসময় রিয়নের গলায় শিবলীর আচড় লাগে। তখনই সেটা মিটমাট করে আমি চলে এসেছিলাম। পরে কী হয়েছে জানি না।

এদিকে অভিযুক্ত রিয়ন বলেন, আমি বিবিএ ফ্যাকাল্টির ওইদিক দিয়ে ক্লাসে যাচ্ছিলাম। ওইখানে আরও ৬-৭ জন ছিল। শিমুল ভাইয়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হচ্ছে দেখে আটকাতে গেছিলাম। ওই সময় আমার ঘাড়ে আঘাত লাগলে পরে অনিচ্ছাকৃতভাবে শিবলীকে দুয়েকটা আঘাত করেছি। দলবেঁধে মারার বিষয়টি সত্য নয়।

ইবি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, ঘটনাটি আমি এখনো শুনিনি। এটা তাদের ব্যক্তিগত ঝামেলা। ব্যক্তিগত দায় কখনো সংগঠন নেবে না। রিয়নকে এর আগেও কয়েকবার সতর্ক করা হয়েছিল। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।

প্রক্টর প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দুইজন সহকারী প্রক্টরকে সদস্য করে একটি কমিটি করে দিয়েছি। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী  পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।