ঢাকা, রবিবার, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৮ জুন ২০২৫, ১১ জিলহজ ১৪৪৬

শিক্ষা

একসঙ্গে এসএসসি পাস করলেন বাবা-ছেলে!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:২৯, নভেম্বর ২৮, ২০২২
একসঙ্গে এসএসসি পাস করলেন বাবা-ছেলে!

ময়মনসিংহ: লেখাপড়ার কোনো বয়স নেই। তা-ই প্রমাণ করেছেন মো. এখলাস উদ্দিন নয়ন নামে (৪৫) এক ব্যক্তি।

এবার ছেলের সঙ্গে এসএসসি পরীক্ষায় পাস করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি।

নয়ন ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ২ নম্বর গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য 

নয়ন পাশের জেলা নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার মগরাই আদর্শ কারিগরি ইনস্টিটিউট থেকে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন।

তার ছেলে মোহাম্মদ রায়হান (১৭) পেয়েছে জিপিএ-৪.৮৬। সে গৌরীপুর টেনকিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে গৌরীপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সালমা আক্তার রুবি বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে দুপুরে সারাদেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়।

এসময় তিনি এখলাস উদ্দিন নয়নকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, লেখাপড়ার কোনো বয়স নেই, নয়ন তা প্রমাণ করেছেন। এখন তিনি সুন্দর সমাজ গঠনে আরও বেশি ভূমিকা রাখতে পারবেন।

এ বিষয়ে এখলাস উদ্দিন নয়ন বলেন, বয়স হয়ে যাওয়ায় আমার লেখাপড়া করার ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু স্ত্রী সামলা বেগমের কারণেই ছেলের সঙ্গে আমাকে পরীক্ষা দিতে হয়েছে। লেখাপড়ায় আমার চেয়ে তার আগ্রহ বেশি।

তিনি আরও বলেন, পরীক্ষা দেওয়ার সময় কিছুটা লজ্জা লাগলেও ফলাফল পেয়ে খুব ভালো লাগছে। সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ছেলের সঙ্গে আমিও কলেজে ভর্তি হয়ে লেখাপড়া চালিয়ে যাব।    

জানা যায়, ছেলে-মেয়ে নিয়ে চার সদস্যের সংসার এখলাছ উদ্দিন নয়নের। এর মধ্যে মেয়ে আঁখি আক্তার বিএ পাস করেছেন। আর ছেলে রায়হান এবার বাবার সঙ্গে এসএসসি পাস করলো।

বাবা-ছেলের পাসের খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান মারুফ।

তিনি বলেন, খবরটি শুনে ভালো লেগেছে। শিক্ষার কোনো বয়স নেই, শিক্ষা প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার। অদম্য এ বাবাকে দেখে সাধারণ মানুষ লেখাপড়ায় অনুপ্রাণিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।